Image description

মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সমাবেশ করে শেষ হয়। 

দাবিগুলো হলো দ্রুত ছাত্রসংসদের রোডম্যাপ প্রদান, সাজিদ হত্যার বিচার, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম নিশ্চিতকরণ ও অবিলম্বে নির্মাণাধীন হলসমূহ চালু করা।

এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুব আলীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা, দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলিসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

 

 

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, কয়েকটি বিভাগে তীব্র শিক্ষক সংকট। এই সংকট কাটাতে দ্রুত মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। প্রশাসন আইনের অজুহাত দেখিয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করছে না। অথচ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পাস করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

 
তারা ১৫ তারিখের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্তের আশ্বাস দিলেও এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। 

 

শিক্ষার্থীরা ফি প্রদানে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটাল হচ্ছে না। সাত দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।

 
আবাসন সংকটও তীব্র। ২০১৮ সালে টেন্ডার হওয়া হলের নির্মাণকাজ ২০২৫ সালেও শেষ হয়নি। চলতি বছরেই হলের নির্মাণকাজ শেষ করে মেধার ভিত্তিতে বণ্টন করতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, সাজিদকে হত্যার ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এই ব্যর্থতার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে।

 
দ্রুত সময়ের মধ্যে সাজিদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট মহল আবারও আওয়ামী শাসনামলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, যেখানে প্রাধ্যক্ষরাও সহযোগিতা করছেন। যদি এমন কোনো চেষ্টা করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে।