Image description
 

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য করা হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

 

বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ কমিটির তথ্য জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠির আলোকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই চিঠি দুদকের পটুয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয় থেকে বাউফল উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়। এরপরই নতুনভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটির খবর প্রকাশ্যে আসতেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নবগঠিত ৯ সদস্যের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন- বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম, যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুদক পটুয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তালিকা করে পাঠিয়েছেন। যে কারণে আমরা তদন্ত করিনি। পাঠানো তালিকা অনুযায়ী নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য পদ পাওয়া বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম সম্প্রতি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে ইউএনও আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে ইউএনও আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানোর পরও কল করলে সংযোগ কেটে দেন।

এদিকে নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি ও ধানদি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, আমাকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি নাকচ করেছি। পরে জানলাম সহ-সভাপতি করা হয়েছে, কিন্তু আমি এসব কমিটিতে থাকতে ইচ্ছুক নই।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন বলেন, কমিটি গঠনের আগে আমাকে সদস্যদের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। আজ চিঠি পেয়ে বিষয়টি জেনেছি। আমাদের কমিটির পরিচিতি সভায় আমি বিষয়গুলো উপস্থাপন করব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানি না, তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় দেখব।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির অন্য দুই সদস্য নারগিস আক্তার ও আসমা বেগমের ঠিকানায় গেলে স্থানীয় কেউ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। তালিকায় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।