Image description
 

বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনের চারটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোন করে প্রার্থীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন।

 

 

তবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুটি আসন ও বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

 

এ খবরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

 

বুধবার বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

প্রার্থীরা হলেন-বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এবং বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।

 

সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, তারেক রহমান মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফোনে তাকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছেন। নির্বাচনে কীভাবে বিজয়ী হওয়া যাবে সেসব ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

 

জেলা বিএনপির সহসভাপতি মুহিত তালুকদার জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফোন করে তাকে বগুড়া-৩ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি তাকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মোশাররফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে নেতা ফোন করে তাকে বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছেন। তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ নির্বাচনের জন্য কাজ করতে বলেছেন।

 

সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, নেতা আমাকে বগুড়া-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলেছেন।

 

এদিকে চার আসনে প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করায় জেলায় নির্বাচনি আমেজ বেড়েছে। নেতাকর্মীরা আশা করছেন, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে খালেদা জিয়া ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে তারেক রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

 

এছাড়া বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম প্রার্থিতা পাবেন বলে তার কর্মী-সমর্থকরা আশা করছেন।

 

তবে বিএনপির কিছু সূত্রমতে, নির্বাচন ও ঐক্যের স্বার্থে এ আসন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

 

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বগুড়ার সাতটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।