
দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে সাত কোটি ৯৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর এ মামলা দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। মামলাটি দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। দুদক দিনাজপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলম মিয়া মামলার এজাহার দাখিল করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার নামে–দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন, ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্কের ৫০ শতাংশ মালিকানা, কক্সবাজারে দুটি ফ্ল্যাট, দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৪৫ একর জমি, ব্যবসায়িক মূলধন, দুটি জিপ গাড়ি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ব্যাংক হিসাবে নগদ অর্থসহ মোট ১৯ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ৩০৪ টাকার সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিবলী সাদিকের বৈধ আয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অথচ তার অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বৈধ উৎস ছাড়া অর্জিত অতিরিক্ত ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
দিনাজপুর দুদকের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, “প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বৈধ আয়ের উৎস ব্যতীত বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। পর্যাপ্ত প্রমাণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।