Image description
 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে এনসিপির আলাদা করে কোনো আপত্তি নেই। এনসিপি নির্বাচন পিছানোর মানসিকতাও ধারণা করে না। কিন্তু জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া, বিচারিক প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতিÑ এ বিষয়গুলো যদি পিছিয়ে যায় তবে প্যারালালি (সমান্তরালভাবে) নির্বাচনের ওপর প্রভাব পড়বে এবং নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। কাজেই আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারসহ এই বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলব জনগণের সকল আকাক্সক্ষাকে উপেক্ষা করে যদি নির্বাচনকেন্দ্রিক চিন্তা হয়, এনসিপি সেই আকাক্সক্ষাকে সায় দিবে না। 

 

সারজিস আরও বলেন, যারা গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত, বিশেষ করে শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে কামাল, আরাফাতসহ আরও যারা ছিল- এমন ৫০-১০০ জনের যদি রায় এবং তার কার্যকরিতা দেখতে পাই, তাহলে আমরা মনে করবো বা একটা বিশ্বাস তৈরি হবে যে, পরবর্তী ধাপে সেগুলো এগিয়ে যাবে। বিগত সময়ে অসংখ্য গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়নাঘরের অসংখ্য নির্মমতা আমরা দেখেছি। আমরা আরও দেখেছি যে, শুধুমাত্র একজন অফিসার প্রায় এক হাজার ৩০ জন মানুষকে হত্যা করেছে, যেটি ট্রাইব্যুনাল থেকে এসেছে। এই সকল সিরিয়াল কিলারদের কে কোন পদে আছে বা কোন প্রতিষ্ঠানে আছে- তা দেখার সময় নেই। এইসব সিরিয়াল কিলারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আহ্বান করবো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের জায়গা থেকে এই সিরিয়াল কিলারদের দায়ভার গ্রহণ করবে না এবং তাদেরকে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে।

সারজিস আলম মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা সদরের বড়বাজারের সালতি পার্টি সেন্টারে জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সভায় আরও বক্তৃতা করেন: বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকীন আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান, রফিকুল ইসলাম শুভ প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন উপজেলার এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।