
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুষ্ঠিত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালুর আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডথ নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিও উত্থাপন করা হয়।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং গাজীপুর সদর মেট্রো থানা জামায়াতের আমির ও গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সালাহউদ্দিন আইউবীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও গাজীপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ হোসেন আলী, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ আফজাল হোসাইন, আজহারুল ইসলাম মোল্লা, গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট শামসুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান কামাল, ডাঃ আমজাদ হোসেন খান, এডভোকেট সাদিকুজ্জামান খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের গাজীপুর মহানগর সভাপতি রেজাউল ইসলাম, টঙ্গী পশ্চিম থানা জামায়াতের আমির আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, কোনাবাড়ি থানা আমির ডা. কবির হোসেন, কাশিমপুর থানা আমির মোঃ ফরহাদ হোসেন, পুবাইল থানা আমির আশরাফ আলী কাজল, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম জামি, মনির হোসেন, ছাত্রশিবিরের নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, দেশে গড়ে ওঠা স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে একটি জনগণ নির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন।