
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন ভাইকে আমি চিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে আমিসহ নেতৃবৃন্দরা জেলে গেলে সে কয়েকবার আমাদের দেখতে গিয়েছে।
আমাদের সাথে সে সবসময় আন্দোলনে ছিলো। সেসময় ঝুঁকি নিয়ে আমাদের দেখতে যাওয়া, সহজসাধ্য ব্যাপার ছিলো না। লোহার খাঁচার মধ্যে থাকা অবস্থায় আমি শাওন ভাইকে চিনেছি। এরপর থেকে যত আন্দোলন করেছি, সব আন্দোলনে সে ছিলো। তাকে যারা চিনে তার সম্পর্কে বলতে পারবে।
আমি তাকে বললাম, এখনো স্মার্ট হতে পারলেন না, আপনি তো রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছেন। সে হাসতে থাকলো, আর বললো, কপালে যা আছে। আমি যতটুকু জানলাম, তিনি এজেন্সির থেকে তার পরিচিত লোকের টাকা আদায় করে দিতে চেষ্টা করেছেন। আমার কাছেও অসংখ্য মানুষ বিপদে পড়ে আমার স্মারণাপন্ন হয়। আমি কিছুদিন আগে কুষ্টিয়ার একজন থেকে রমনা থানায় মামলা করিয়ে আমার এলাকার একজনের টাকা আদায় করিয়ে দিয়েছি। আমার এলাকার আরেকজনের টাকা আদায় করে দিতে পারিনি। এমন কেউ আসলে আমি আগে থানায় মামলা করতে বলি।
শাওন ভাইয়ের ভুল হয়েছে, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা না নিয়ে নিজেই টাকা উদ্ধার করে দিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই ঘটনায় এজেন্সির মালিক তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে। যারা ছাত্রদলের রাজনীতি করে তারা শাওন ভাইকে চেনে। আমরা যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছি, তারাও তাকে চিনি। তিনি খুবই অমায়িক ও ভাল ছেলে।
তার সম্পর্কে এতোটুকু তুলে না ধরলে, আমার মনে হলো হয়তো তিনি অবিচারের স্বীকার হতে পারেন। এজন্যই আমি শাওন ভাইকে নিয়ে লিখলাম। আশা করি, তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।