Image description
 

রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য আরেকটা গণঅভ্যুত্থান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। ‍বুধবার নিজের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ লেখেন, আমি মনে করি না বয়স্ক উপদেষ্টারা দুর্নীতি করেছে। এমন তথ্যও শোনা যায় না। মূলত তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক জ্ঞান না থাকার কারণে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের পার্ট হয়েও তারা কিছু করতে পারেনি। তাদের গণঅভ্যুত্থানেও কোনো ভূমিকা নাই, হাসিনার বিরুদ্ধেও কখনো রাজপথে নামেনি। বৃদ্ধ বয়সে নাতিপুতির সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটানো মানুষগুলোকে প্রলোভন দেখিয়ে সরকারের উপদেষ্টা বানিয়ে ভুল করেছে কতিপয় ছাত্র নেতৃত্ব। অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের পরে অদক্ষ লোককে সরকারের উপদেষ্টা বানানোর পুরোপুরি দায় কতিপয় ছাত্র নেতৃত্বের। তাদের ভুল সিলেকশনে এতোবড় গণঅভ্যুত্থানের পরেও রাষ্ট্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। 

 

রাশেদ আরও লেখেন, সেটা ছাত্র নেতৃত্বরা ইদানিং স্বীকার করছে যে, তাদের ওপর বিশ্বাস করে ভুল করেছে। এই ভুলের খেসারত পুরো জাতিকে দিতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটা গণঅভ্যুত্থান হলেও হতে পারে। সেই গণঅভ্যুত্থানের পরে সবচেয়ে বেশি খেসারত দেওয়া লাগতে পারে তাদের, যাদের ভুলের কারণে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে হয়েছে, আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিমদের রক্ত বৃথা গেছে! সেসময় বয়স্ক উপদেষ্টাদের সেইফ এক্সিটের প্রয়োজন পড়বে না। প্রাকৃতিক নিয়মেই তখন তারা আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে না। তখন সেইফ এক্সিট খুঁজতে হবে এখনকার কতিপয় নেতৃত্বকে, যারা প্রতিনিয়ত ভুল করছে।

পোস্টের শেষে রাশেদ লেখেন, তবে কারোরই সেইফ এক্সিট লাগবে না, যদি আগামী ৫ মাস কোন ভুল না করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে  সঠিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হতে পারি।