Image description

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মানবাধিকার বিভাগ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনা তুলে ধরা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা ৫টি বিচার বহির্ভূত ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। ৪৩টি গণপিটুনীর ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হন। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা কোনো ধরনের গুমের ঘটনা ঘটেনি। 

রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ৪২টি সংঘর্ষ হয়। এতে ৩০৪ জন আহত ও ৯ জন নিহত হন। রাজনৈতিক সহিংসতার বর্ণনায় প্রতিবেদনে বলা হয়,  নিজেদের মধ্যে ২৪ বার সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি, এতে ৭ জন নিহত এবং ১৯২ জন আহত হওয়ার কথা তুলে ধরা হয়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ৭ বার সংঘর্ষে জড়ায়, এসময় ১ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হন। এ ছাড়া জামায়াত ও আওয়ামী লীগ ১ বার সংঘর্ষে জড়ায়, এতে ১ জন নিহত হয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল একবার সংঘর্ষে জড়ালেও ১০ জন আহত হন। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটে, এ ঘটনায় ৪৫ জন আহত হয় বলে মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। 

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রতিবেদনে সমাবেশে আইন-শৃৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দল দ্বারা ৩ বার বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ নিহত না হলেও ২৬ জন আহত হন। এদিকে সীমান্তে বিএসএফ দ্বারা ১৩ বার সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ জন আহত হন।

ছাত্রশিবিরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে নারী নির্যাতনের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। ৬১ জনের সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, এতে ৩ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হন। আর ১৮ জনের সঙ্গে গণধর্ষণ হয়। যৌতুক নিয়ে ৫টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়।

এ ছাড়াও ৮৫টি পারিবারিক সহিংসতায় ৫৯ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়। ২ বার এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে ও ২ জন আহত হয়। যৌন হয়রানীর মতো ঘটনা ২৩ বার ঘটে, এতে ১০ জন আহত হয়। 

 

শারীরিকভাবে ৩১ বার শিশু নির্যাতন হয়, এতে ২৯ শিশু নিহত হয় এবং ১১৫ জন আহত হয়। ৩০ বার সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, এতে একজন সাংবাদিক নিহত হন এবং ৩২ জন আহত হন। সংখ্যালঘু নির্যাতন (পরিবার, উপাসনালয় ও সম্পত্তিতে হামলা) ১০ বার ঘটে, এতে কেউ আহত ও নিহত হননি। তবে ২৫ বার শ্রমিক নির্যাতন হয়, এতে ৭ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়।