গত পাঁচ আগস্ট থেকে একেবারে লাপাত্তা হয়ে গেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কোনো খোঁজ মিলছে না সাংবেক এই সংসদ সদস্যের।
এরপর হঠাৎ করেই, গত ১৪ই অক্টোবর নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুকে একটি গান পোস্ট করেন মমতাজ। খালি গলায় গেয়ে ওঠেন— আমায় হাত বান্ধিবি, পাও বান্ধিবি, মন বান্ধিবি কেমনে।
গত দুই দশক ধরে নানাভাবে আলোচনায় রয়েছেন মমতাজ বেগম। কখনো- বাংলাদেশের লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে—কখনো-- সংসদ সদস্য। আবার কখনো বা পারিবারিক জীবন নিয়ে।
কণ্ঠশিল্পীর হিসেবে জনপ্রিয়তার মাঝেই হঠাৎ করেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হন।
এরপর পাকাপাকিভাবে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালে নৌকার মনোনয়নে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০২৪ সালে নৌকা মনোনয়ন পেয়েও ভোটের হেরে যান তিনি।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তোপের মুখে রয়েছেন। বেশিরভাগ সাবেক এমপির বাড়িতেই হয়েছে হামলা।
কোটা থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন; ওই সময় কখনোই নিজ এলাকা সিংগাইরে দেখা যায়নি মমতাজকে। কারণ, রাজনীতিতে ধরা খেয়ে, অনেকটা চুপ হয়ে যান তিনি।
গত সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান মমতাজ। বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজনীতিতে। এরপর সিংগাইরে যাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেন তিনি। তিনি এলাকায় কম আসতেন।
এই অবস্থার মধ্যেই পতন ঘটে শেখ হাসিনার। আর এরপর থেকে প্রায় নিখোঁজ হয়ে যান মমতাজ বেগম। কোথায় হদিস মেলেনি তার।
তবে সরকার পতনের পরই জনতার রোষাণলে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতারা এবং তাদের বাড়িঘর। তবে রক্ষা পেয়েছে মমতাজের বাড়ি। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও অক্ষত রয়েছে।
তবে মমতাজ সেই যে লোকচক্ষুর আড়ালে গেছেন, সেখান থেকে আর প্রকাশ্যে আসেননি প্রায় ৭০০ গানে কণ্ঠ দেয়া মমতাজ। নির্বাচনী এলাকা বা কোনো সঙ্গীতের আসর, কোথাও দেখা যায়নি মমতাজ বেগমকে।