Image description
 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।

 

নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, “ফেব্রুয়ারির একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সবাই এর সঙ্গে একমত। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে সমাধান করতে হবে। যেমন জুলাই সনদ নিয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি, কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন না হলে ঐকমত্যের কোনো মূল্য থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে নির্বাচনের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। তার ভাষণ ছিল অসাধারণ। বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হলে তিনি নিশ্চিতভাবেই স্বর্ণপদক পেতেন।”

 

তাহের জানান, প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সফরসঙ্গী করেছেন—এটিকে তিনি ইতিবাচক ও ব্যতিক্রম উদ্যোগ হিসেবে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “ইনভেস্টর ফোরামের অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা নীতির ধারাবাহিকতা চান। তখন প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা যারা আউটগোয়িং আছি এবং যারা ইনকামিং আছি, সবাই এখানে।’ এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”

 

আসন্ন নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, “ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে উপস্থিত ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে মত দিয়েছে। কারও মত উচ্চকক্ষে, আবার কারও মত দুই কক্ষেই। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল পিআরের পক্ষে থাকায় আমরা এ দাবি করছি।”

পিআর ব্যবস্থা কার্যকর না হলে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না এমন প্রশ্নে তাহের বলেন, “আমরা ইফ-বাট রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। দাবি করছি এবং আশা করি সরকার তা মেনে নেবে। যেহেতু এটা জনগণের প্রয়োজন, তাই আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেবো।”

এ সময় জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেকও উপস্থিত ছিলেন।