Image description
 

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়েন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রবেশ করার ঠিক আগে তাঁকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। পরে তাঁর ভাষণে তিনি কাশ্মীর, পানিবণ্টন চুক্তি এবং ভারতের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরেন।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রবেশের সময় ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শরিফ, আপনারা কবে সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করবেন? পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, আপনারা কবে সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করবেন?’

 

এই প্রশ্ন প্রথমে এড়িয়ে গেলেও, প্রবেশপথ পেরোনোর পরই পেছনে ফিরে সংক্ষিপ্ত জবাব দেন শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্ত সন্ত্রাসকে পরাজিত করছি। আমরা তাদের পরাস্ত করছি।’

এই সংক্ষিপ্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। পেহেলগামের সেই হামলায় ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারায়। এরপর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে উভয় পক্ষের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধ পূর্ণাঙ্গ রূপ নেওয়ার আগেই উভয় পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে শাহবাজ শরিফ একাধিক বিষয় উত্থাপন করেন এবং পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। শাহবাজ শরিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান পুনরুল্লেখ করেন।

 

ভাষণে শরিফ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি উত্থাপন করেন। পাকিস্তানকে ভুক্তভোগী হিসেবে তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’-এর শামিল।

প্রতি বছরের মতো এবারও পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এবং কাশ্মীরি জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে।

শাহবাজ শরিফ তাঁর ভাষণে দাবি করেন, যুদ্ধে পাকিস্তান সাতটি ভারতীয় জেট বিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারত ‘রাইট অব রিপ্লাই’ প্রয়োগ করে এই দাবির কড়া জবাব দেয়। ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, ‘যদি ধ্বংসপ্রাপ্ত রানওয়ে এবং পুড়ে যাওয়া হ্যাঙ্গারকে বিজয়ের মতো দেখতে হয়, যেমনটা প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, তবে পাকিস্তান তা উপভোগ করতে পারে!’