Image description
 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নয়, গত এক যুগেরও বেশি সময় যারা মানুষকে খুন করেছে তাদের দৃশ্যমান বিচার আমরা দেখতে চাই। এই অল্প সময়ে প্রত্যেকের বিচার হয়তো সম্ভব না, কিন্তু খুনি হাসিনা, আসাদুজ্জামান, আরাফাতের মতো পনেরো-বিশজন প্রধান কালপিটের বিচারিক রায় ও তা কার্যকর করতে হবে। যদি রায় কার্যকর করা যায় তাহলে আমরা আস্থা রাখতে পারব যে আগামীতে এ বিচার এগিয়ে যাবে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় সিলেটের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের কনফান্স হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ কোন প্রক্রিয়ায় হবে এটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। এটি বাস্তবায়নে দুটি উপায় আছে। গণপরিষদ ভোটের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন যেটা সবচেয়ে সাসটেইনেবল উপায়। দ্বিতীয় আরেকটি হচ্ছে— গণভোট যেটা বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। বাকি সব উপায়ে কিন্তু আইনগত জটিলতা রয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলকে সাংগঠিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের জেলা উপজেলার সমন্বয়ক কমিটিতে যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতেই আমরা সারা বাংলাদেশের জেলা সফরে বেরিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে দলকে যদি আরও শক্তিশালী করা যায় তবে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারব। সিলেট বিভাগের প্রতিটি আসনে আমরা দলীয় প্রার্থী দিতে চাই।

 
 

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গণঅধিকারসহ আমরা যারা একই মতাদর্শ ধারণ করি এবং বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে আমরা মনে করছি বাংলাদেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সেসব তরুণদের রাজনৈতিক দলগুলোর একিভূত হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষও এটা চায়। গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে পজিটিভ আলোচনা চলছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখানে এবি পার্টিও রয়েছে, মধ্যপন্থি দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন রয়েছে। আরও কিছু দল রয়েছে। এখানে এলায়েন্স হতে পারে কিংবা একিভূতও হতে পারে।

 

তিনি বলেন, গত পরশু (সোমবার) বাংলাদেশ ও দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে জাতিসংঘে গেছেন। সেখানে তাদের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা জরুরি ছিল। কিন্তু এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও লজ্জাজনক। এ বিষয় নিয়ে আমাদের দেশের পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিংবা ওই দেশে আমাদের যে দূতাবাস রয়েছে তাদের কাউকেই আমরা কোনো অ্যাকশন নিতে দেখিনি। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা। আর এ দুর্বলতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।