Image description

যুক্তরাষ্ট্রে ‘জুলাই সন্ত্রাসী’ স্লোগান দিয়ে এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের ওপর হামলা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয় এবং গালিগালাজ করা হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা। অন্যদিকে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

পুরো ঘটনায় জড়িত পতিত আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহও। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে যে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে- তা আগেই জানিয়েছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।একই সঙ্গে, জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণেরও সমালোচনা করেন তিনি।

ফেসবুকে নিজের আইডিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে দেওয়া এক পোস্টে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ জাতিসংঘ সফরে ৩টা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিজেদের প্রটেকশনের স্বার্থে নিয়ে গেছেন’ বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ খান। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘জুলাই সন্ত্রাসী’ স্লোগান দিয়ে এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনার পর ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ উল্লেখ করে এই সরকার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছে, এমনকি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ খান!

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন-

‘যখন এই সরকারের কেউ সমালোচনা করা শুরু করেনি, তখন আমি সমালোচনা করি। যে কারণে আমি সরকারের উপদেষ্টাদের বিরাগভাজন হয়েছি, এমনকি সরকার ও সরকার ঘনিষ্ঠ কোনো কোনো মহল থেকে হুমকিও পেয়েছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আমাকে নানাভাবে কটাক্ষ করেছে। তারা মনে করতো আমি মনে হয় ভুল করছি! কিন্তু আজকে চিন্তা করে দেখেন, কে ভুল ছিলো! এই উপদেষ্টা পরিষদের অনেককে আমি বহুদিন ধরে চিনি, তারা কতোটুকু কি করতে পারবে, সেটা আমার অনুমেয় ছিল।’ 

 

এই সরকার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছে মন্তব্য করে রাশেদ খান লেখেন, ‘আমি বারবার বলেছি, এই সরকার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছে। এমনও বলেছি, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস! কিন্তু তারপর আপনারা সংস্কার সংস্কার আর বিচার বিচার করে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি করে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে চেয়েছেন। কিন্তু এই সরকার আপনার আমার ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।’

এখন কেন চান না সরকার ৫ বছর থাকুক?- এমন প্রশ্ন রেখে গণঅধিকার পরিষদ নেতা বলেন, ‘এই সরকারের দুর্বল নিরাপত্তাবলয়ের কারণে আজকে লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। লীগের কোনকিছু করা যায়নি বরং ঘাপটি মেরে থেকে এরা শক্তি সঞ্চয় করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরা দেশে গুপ্তহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বোমাবাজি শুরু করার প্লান নিচ্ছে। ক্ষমতার মোহে কামড়াকামড়ি করবেন নাকি লীগ সামলাবেন? সিদ্ধান্ত আপনার! 

ইউনূস সরকার ব্যর্থ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে-বিদেশে কেউ নিরাপদ নই। আমাদের জন্য নিরাপদ মাতৃভূমি বানাতে ব্যর্থ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সরকার!’