"হাসান আল মাহমুদ"
বাংলাদেশে আসছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক হজরত শাহ জালাল রহ. বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করবেন।
এদিকে মাওলানা ফজলুর রহমানের বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের ভাগ হয়ে যাওয়া দুই জমিয়তের মাঝে ঐক্যের সুর শোনা যাচ্ছে।
দুই জমিয়তের একাধিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা ফজলুর রহমানের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে দুই জমিয়তেই সরব। দুই জমিয়তই মাওলানা ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশে আনতে যোগাযোগ রাখছে। এসময় মাওলানা ফজলুর রহমান বাংলাদেশের দুই জমিয়তের নেতৃবৃন্দকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
সূত্র বলছে, মাওলানা ফজলুর রহমানের এই আহ্বানে দেশের দুই জমিয়তের মাঝে ঐক্যের সুর বেজে ওঠেছে। তার এ আগমন ঘিরে দেশে ভাগ হয়ে যাওয়া দুই জমিয়ত এক হয়ে যাওয়ার আশা করছে নানা মহল।
মাওলানা ফজলুর রহমান বাংলাদেশে দুই জমিয়ত এক করার কার্যকরী উদ্যোগ নেবেন বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই জমিয়তের কেন্দ্রীয় দুই নেতা।
এ বিষয়ে দুই জমিয়তের একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, দুই জমিয়ত এক হয়ে গেলে দেশে শক্তিশালী দল হিসাবে পথ চলতে পারবে। জমিয়ত ফিরে পাবে হারানো গৌরব।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দুই ভাগ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দলটিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। এসময় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধিত নামে সভাপতি ছিলেন আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি ও মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমী। তারা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একই নামে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট জমিয়তের আরেকটি কমিটি গঠন করেন। বর্তমানে জমিয়তের এক ভাগের সভাপতি শায়েখ জিয়া উদ্দিন ও মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। অপরভাগের (মুফতি ওয়াক্কাস রহ.) সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহীম ইসলামাবাদী ও মহাসচিব ড. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।