Image description

দেশের নির্বাচনি রাজনীতি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নকে ঘিরে। দীর্ঘ সংলাপের পরও রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারির শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে।

 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড এবং আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের প্রশ্নে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দলের সমঝোতা জটিল হয়ে উঠছে।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ প্রশ্ন তুলেছেন, “সংস্কারের বিষয়গুলোকে আইনি ভিত্তি না দিয়ে নির্বাচন হলে তো সেই পুরনো কাঠামোই বহাল থাকবে। তাহলে কি অন্তবর্তী সরকার আরেকটি ফ্যাসিস্ট সরকারের জন্ম দিতে চায়?”

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি দলকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু আওয়ামী লীগের বিচার করলে হবে না, জাতীয় পার্টি, ১৪-দল— সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এ অবস্থায় ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিশ। অচিরেই আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ আরও কয়েকটি দল।

খেলাফত মজলিশের আমির হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন— এগুলোই এখন আমাদের দাবি। আশা করি সরকার সেই পথে হাঁটবে, না হলে জনগণের সমর্থনে আমরা রাজপথে নামব।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব কে. এম. আতিকুর রহমান জানান, “অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জনগণের দাবিকে সামনে রেখে খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে মাঠে নামা হবে।”

তবে জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামার বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা খবর নাকচ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৃহত্তর আন্দোলন বা দাবি আদায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ঠিকই, তবে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

সমমনা ইসলামী দলগুলো যুগপৎ কর্মসূচি স্পষ্ট না করলেও, তাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা জোরদার হচ্ছে।