
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া আসন বিন্যাসের চলমান শুনানিতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সংসদীয় আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে কেটে নেওয়ার পক্ষে শুনানিতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ভুল বোঝানোর প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে মশাল মিছিলের মাধ্যমে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
রুমিন ফারহানার জন্মস্থান বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৮টার দিকে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মশাল মিছিলের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন বুধন্তী ইউনিয়নের কয়েকশত মানুষ।
তারা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা যদি বুধন্তী ইউনিয়নে তার পৈত্রিক বসতবাড়ি মনেপ্রাণে ধারণ করতেন, তাহলে এই ইউনিয়নের মানুষের মনের আবেগ-অনুভূতি বুঝার চেষ্টা করতেন। তিনি তা না করে নিজের স্বার্থে সবার ইচ্ছাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ানো কখনো একজন প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।
আন্দোলনকারীরা অনতিবিলম্বে অত্র এলাকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করে বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে পুনরায় আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সংসদীয় আসনে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, বুধন্তী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুবুর আলম, সাধারণ সম্পাদক রাস্টু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. কামাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন খোকন, বিজয়নগর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক রতন মোল্লা, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির মোল্লা, বুধন্তী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শামীম ফকির প্রমুখ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইসির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।