Image description

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সম্পর্ককে ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে। ইসরায়েলের কাতারে হামলা এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরে নতুন এলাকা দখলের পরিকল্পনা ইউএইয়ের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউএই প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে দেখতে গেলে এই উদ্বেগ প্রকাশ পায়।

ইসরায়েলের সবচেয়ে দৃঢ় আরব অংশীদার হলো ইউএই। ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে দেশটি। এই চুক্তির মাধ্যমে অর্থনীতি ও প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাড়ানো হয়। তবে গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং দখলনীতি এই সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি ইউএই দুবাই এয়ারশোতে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ বাতিল করেছে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীরের আংশিক সংযুক্তি ‘লাল রেখা’ অতিক্রমের শঙ্কা জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউএইয়ের নীতি প্রধানত আবুধাবির নিয়ন্ত্রণে। তবে দুবাই ও শারজাহ মাঝে মাঝে ভিন্ন মত প্রকাশ করে। দুবাই ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেখালেও আবুধাবি ও অন্যান্য আমিরাত সতর্ক। কারণ তারা অঞ্চলীয় প্রতিক্রিয়া ও অস্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তিত।

এ ছাড়া ইউএই কৌশলগত স্বার্থ ও লক্ষ্য যেমন হামাস এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো ইসলামী আন্দোলন প্রতিহত করা, বিনিয়োগ নিশ্চিত করা ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি অর্জন করতে চায় এবং তা বজায়ও রাখছে। তবুও পশ্চিম তীরের সংযুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা পরীক্ষা করছে। কারণ আবুধাবি চায় সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং অঞ্চলীয় ক্ষোভ এড়াতে।

বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ইউএই সম্ভবত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক হঠাৎ বন্ধ করবে না; অঞ্চলীয় প্রভাবক হিসেবে নিজেকে রাখবে। গাজা, পশ্চিম তীর ও অন্যান্য আরব বিষয়গুলোতে সুষম অবস্থান বজায় রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা চালিয়ে যাবে। তথ্যসূত্র : মিডলইস্ট আই