
আবিদ-হামিম-মায়েদরা যখন বাংলাদেশের পক্ষে লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল, তখন অনেকেই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের পতাকাতলে আশ্রয়ে ছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তিনি।
পোস্টে রাকিব লেখেন, ‘খুনি হাসিনার আমলে আবিদ-হামিম-মায়েদরা যখন বাংলাদেশের পক্ষে লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল, তখন অনেকেই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের পতাকাতলে আশ্রয়ে ছিল। তারই সর্বশেষ সংযোজন (আবু বাকের মজুমদার, জিএস পদপ্রার্থী, ডাকসু)।
তিনি লেখেন, ‘বি.দ্র. খুনি হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বিজ্ঞান কর্মশালায় উপস্থিত সবার ছাত্রলীগের প্রতি আনুগত্য ছিল, তা স্পষ্ট।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী মাহিন সরকারের সরে যাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’। শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্যানেলের প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ অভিযোগ করে বলেন, আমরা একসঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি সমন্বিত প্যানেল গঠন করেছিলাম। এই প্যানেল ঘোষণা করার আগেই আমাদের ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, মন্ত্রীপাড়ার চাপ ও দলীয় হস্তক্ষেপের কারণে মাহিন সরকারকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সমন্বিত প্যানেলে যোগ দেওয়ার কারণে মাহিন সরকারকে তার দল এনসিপি থেকে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কারের আগেও তিনি নানা ধরনের চাপের মুখে পড়েছিলেন। এমনকি এলাকায় তার নেতাকর্মীরাও হুমকি ও ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, শুধু মাহিন নন, আমাদের প্যানেলের আরও প্রার্থীদের ওপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ঘৃণ্য রাজনীতি চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে খালিদ আরও বলেন, প্রচার করা হচ্ছে যে মাহিন সরকার নাকি জুলাই শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আলাদা সারি ঘোষণা করেছেন। তাহলে আমাদের সঙ্গে থাকা অন্যরা কি জুলাইয়ের শক্তি নন? তারাও তো সেই সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মাহিনের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক কফিনে শেষ পেরেক’ হিসেবে উল্লেখ করে খালিদ বলেন, আমরা আমাদের মতো করেই শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। শিক্ষার্থীরা আমাদের কাজের ভিত্তিতেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী এনি বলেন, কোনো একক ব্যক্তির কারণে আমরা ভাঙব না। আমরা মাঠে লড়াই করেই উঠে এসেছি। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ৯ সেপ্টেম্বর জয়ী হই বা না হই, মূলত আমরাই প্রকৃত বিজয়ী।