
আগামীকাল শনিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক জশনে জুলুস। জুলুস ঘিরে নগরীজুড়ে সাজ সাজ রব, যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও লাখো মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছে আয়োজক কমিটি।
৫৪তম এ জুলুসে এবার নেতৃত্ব দেবেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (র.)। এতে উপস্থিত থাকবেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ।
এ জুলুসের আয়োজক সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এবং সার্বিক সহযোগিতা করে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
জুলুস উপলক্ষে নগরীজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক নির্দেশনাও।
শুক্রবার জুলুসকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন করেছে আনজুমান ট্রাস্ট। ষোলশহর আলমগীর খানকাহ শরীফে বিকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন- ট্রাস্টের কর্মকর্তা আমীর হোসেন সোহেল, সিরাজুল হক, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মিডিয়ার কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জশনে জুলুস সফল করার জন্য প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এবার জলুসের রোডম্যাপ কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। মুরাদপুরের জামেয়া মাদরাসা সংলগ্ন ষোলশহর আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুস শুরু হয়ে মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট দিয়ে জিইসির পেনিনসুলার সামনে ঘুরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে জমায়েত হবে।
এখানে দেশখ্যাত আলেমরা বক্তব্য দেবেন। দেশ ও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হবে। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশে প্রথম জুলুসের সূচনা করেন হযরত তৈয়ব শাহ (র.)।