Image description

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ভোটের বাক্সে জামায়াতে ইসলামী যে হাইপ (উত্তেজনা বা প্রচার) তুলেছে সেটার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। তাদের রুট লেভেল পর্যন্ত কর্মী আছে। তাদের কর্মীরা তো শুধু কর্মী না, এক-একজন ক্যাডারের মতো। একেবারে জানবাজি রাখা কর্মী।

 
তাদের কাছ থেকে তারা একেবারে সঠিক তথ্যটা নিশ্চয়ই পেয়ে থাকে।

 

সম্প্রতি এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘জামায়াত বোঝে একটা মোটা দাগের সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা আসলে কতটা আসন পেতে পারে, সেটার সঙ্গে হাইপের ডিফারেন্স (পার্থক্য) অনেক। তাই তারা চায় নির্বাচন যত দেরি হবে, তাদের জন্য ততই সুবিধা।

 
তারা তো বিএনপিকে ম্যালাইন (নেতিবাচক প্রভাব) করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তারা আশা করছে এটা বাস্তবে হবে কি না তা একমাত্র সময়ই বলতে পারে।’ 

 

তিনি আরো বলেন, ‘যদি পিআর পদ্ধতি হয়; আপনি মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ ভোট না পান তাহলে তো আপনি সরকার-ই গঠন করতে পারবেন না। টু-থার্ড মেজরিটি দিয়ে সংবিধান সংশোধনের মেজরিটি আসা তো সম্ভবই না।

 
৫১ শতাংশ ভোট আপনাকে পেতে হবে কেবলমাত্র একটা সরকার গঠনের জন্য।’

 

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো পলিটিকাল পার্টির কখনোই ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ভোটার গেছে এরকম নজির নেই। তাহলে যেটা হবে একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট তৈরি হবে। তখন জামায়াতের দরকষাকষিটা কিন্তু অনেক হাই হয়ে যাবে। একদিকে তাদের আসনসংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।

 
যদি ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট (পছন্দের প্রার্থীর জন্য একটি ভোট) হয় তারা ২০টা আসন পেত। পিআর পদ্ধতিতে তারা ৭০-৮০টা আসন পেয়ে যাবে। তাদের একটা শক্ত দরকষাকষির জায়গা তৈরি হবে। কিন্তু দেশের অবস্থা হবে সাড়ে সর্বনাশ।’