Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অতি দ্রুত ভোট কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলে ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় সিনেট হলে নির্বাচন কমিশনের সাথে সকল ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা মাত্র ৮টি। একেক জন শিক্ষার্থীকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ৪১টি করে ভোট দিতে হবে। একেক জনের ভোট দিতে সময় লাগবে প্রায় ৭/৮ মিনিট। তাই এতে করে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। 

২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিল ভিতরে ছাত্রলীগ দাঁড়িয়ে ছিল। আমাদের শিক্ষার্থীরা তখন ভোট দিতে পারেনি। এবারও রিয়েল লাইন হয়েও অনাবাসিক কিংবা যারা দেরিতে আসবে তারা ভোট দিতে পারবে না ভোট কেন্দ্র সংকটের কারণে।

এর আগে, সিনেট হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার কাজী মারুফুল হক বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার জন্য আমাদের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে তাদের সাথে কোন ধরনের বেয়াদবি যেন না হয়। যদিও কেউ বেয়াদবি করেন তা বরদাস্ত করা হবে না। এ ধরণের কর্মকান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় সিনেট হলে নির্বাচন কমিশনের সাথে সকল ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মারুফুল হক বলেন, ‘একটি জরুরি বিষয় আপনাদেরকে জানানোর জন্য আজকে এখানে আসা। এটি হলো ডাকসুর ব্যাপারে কিছু সতর্কতা জানাতে আসছি। ডাকসু আমাদের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি। আমাদের মূল কাজ পড়াশোনা। ডাকসুর প্রচার প্রচারণা করার ক্ষেত্রে পাঠ কার্যক্রম, গবেষণা, সেমিনার যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। এটা খুবই স্ট্রিক্টলি দেখা হবে।’