
প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুলতানা জাহান নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। প্রতিটি প্রকল্প থেকে ঘুষ নিলেও সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকছেন সরকারি এ কর্মকর্তা। কালীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নগুলোর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর তদারকি করেন সুলতানা জাহান।
অভিযোগ উঠেছে, এ তদারকির সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা।
সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপজেলায় টিআর, কাবিটা, কাবিখা, কর্মসূচিসহ একাধিক প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে- অধিকাংশ প্রকল্পেই পূর্ণাঙ্গ কাজ করা হয়নি। আংশিকভাবে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
এসব প্রকল্পের প্রকল্প সভাপতিরা জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানকে বরাদ্দের টাকার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ টাকা দিতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালীগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি বলেন, ‘পিআইও সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার সাহস কারো নেই।
জেলা সচেতন সাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও অনেক আমলরা এখনো একই স্টাইলে দুর্নীতি করে যাচ্ছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান বলেন, ‘আমি সততার সঙ্গে কাজ করি। এগুলো শুধু শুধু বলা হচ্ছে। আমি সম্প্রতি হজ করেছি—এসব অপকর্ম করার প্রশ্নই আসে না।’
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী দেদারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।’