
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন কোনো দেশ হস্তক্ষেপ করতে না পারে, এই নীতিতে সম্পর্ক গড়তে চায় বিএনপি। পাকিস্তানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হতে যাচ্ছে, এ নিয়ে কথা বলেছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। চ্যানেল 24-কে তিনি বলেন, সার্ক ইস্যুতে দু’পক্ষই নতুন করে কাজ করবে। যা আগামীতে এ অঞ্চলে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বরাবরই সংবেদনশীলতার মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক। যা গত ১৫ বছরে তলানিতে ঠেকেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা-ইসলামাবাদের ঝিমিয়ে পড়া সেই সম্পর্ক সতেজ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভাবনা কী? এ বিষয়ে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন কেউ হস্তক্ষেপ না করে, এ নীতিতে সম্পর্ক গড়তে চায় বিএনপি। সেটি যে দেশই হোক।
শামা ওবায়েদ বলেন, পাকিস্তান সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করতে চায়। এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনীতি করতে চায় দেশটি। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা এবং কেউ যেন আমাদের দেশের অভ্যন্তরণীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে এবং আমরাও অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না―এই নীতিতে সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বিশ্বাসী বিএনপি।
এছাড়া সার্কের পুনরুজ্জীবনের জোরালো দাবিও জানায় বিএনপি। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সক্রিয়তার প্রত্যাশা করে দলটি। এ ব্যাপারে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের (বাংলাদেশ) এবং তাদের (পাকিস্তান), দুই পক্ষ থেকেই সার্কের কথা বলা হয়েছে। সার্ককে আমরা আবার পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। এতে সার্কভুক্ত সবদেশ এবং তাদের নাগরিক ও অর্থনীতি প্রভাবিত হবে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ ২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার বাংলাদেশে এসেছিলেন। এর ঠিক ১৩ বছর পর বাংলাদেশ সফর করলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।