
ঢাকার কেরানীগঞ্জে শুক্রবার একই সময় ও স্থানে সমাবেশ ডেকেছেন বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা। এতে এলাকায় থমথমে অবস্থা ও ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে প্রাথমিকভাবে ভিন্ন দুটি স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করে বিএনপির দুপক্ষ। তারা শুক্রবার একই সময়ে এ আয়োজন করতে চায়।
আবেদনকারীরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পক্ষে জিনজিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন এবং যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবীর পলের কর্মী তারিফুর রহমান। এ খবরটি জানাজানি হলে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তারিফুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকালে আমাদের পক্ষ থেকে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঈদগাহ মাঠ ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
অনুষ্ঠানের বিষয়ে গত মঙ্গলবার জিনজিরা ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আমরা মাঠের অনুমতি চাওয়ার পরও কেন ওইদিন একই জায়গায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পক্ষে কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় ও তার অনুসারীরা প্রোগ্রাম করতে চায় তা আমরা জানি না।
জিনজিরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকাররম হোসেন বলেন, শুক্রবার জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছি। আমাদের পক্ষ থেকে জিনজিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন মাঠ পরিচালনা কমিটি ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানাকে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আয়োজনের অনুমতির জন্য গত ১৮ আগস্ট জিনজিরা ঈদগাহ মাঠ সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। আশা করছি আমাদের আবেদনটি প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠান করার জন্য বিএনপির দুটি পক্ষের আবেদন পেয়েছি। এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় সমর্থিত পক্ষ ঈদগাহ মাঠ ও যুবদল নেতা রেজাউল কবীর পলের সমর্থিত পক্ষ জিনজিরা কালাচাঁন প্লাজা এলাকায় পৃথক স্থানে অনুষ্ঠান করবে। দুটি অনুষ্ঠানস্থল যেহেতু কাছাকাছি, তাই তাদের কর্মী-সমর্থকদের ভিন্ন সড়ক ব্যবহার করে কর্মসূচি পালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।