
রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির আওতায় ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত তুরস্ক। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীও মোতায়েন করতে রাজি আঙ্কারা। তবে শুধু রাশিয়া অনুমতি দিলেই তারা সেনা মোতায়েন করবে।
এর আগে, গত সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং কয়েকজন ইউরোপিয়ান নেতার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন। এর এক সপ্তাহ আগে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প একটি সম্ভাব্য চুক্তির ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে, কিন্তু দেশটিতে আমেরিকার সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামরিকভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে, কারণ তারা সেখানে আছে। অবশ্য তিনি সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন।
ট্রাম্প এ সময় পুতিন-জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি সাক্ষাতের ইঙ্গিত দেন, এরপর তারা তিনজন এক বৈঠকে মিলিত হবেন। তবে ক্রেমলিন এই প্রস্তাবটি এখন পর্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরব চলতি সপ্তাহে বলেছেন, যে কোনো বৈঠকের জন্য ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হয়।
ট্রাম্পের উদ্যোগকে তুরস্ক সমর্থন করে। ওই সূত্র বলেছে, তুর্কি কর্মকর্তারা বছরের পর বছর পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি আলোচনায় মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে আসছেন।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, যদি পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত থাকে তাহলে চূড়ান্ত সমঝোতার অংশ হিসেবে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের জন্য আঙ্কারা প্রস্তুত। তবে মস্কোর অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গত সপ্তাহে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’ শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনে যেকোনো শান্তি মিশনকে তার দেশ সমর্থন করবে।
তবে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মস্কো ইউক্রেনে সরাসরি ন্যাটোর উপস্থিতি সহ্য করবে না। এক্ষেত্রে আঙ্কারা নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সেনা মোতায়েন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে কৃষ্ণসাগরে তুরস্ক তার ফোর্স মোতায়েন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।