Image description

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দখল-চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সাহাব উদ্দিন (৫০) নামে বিএনপির এক নেতাকে গলাকেটে হত্যাচেষ্টা করেছে যুবদলের কর্মীরা। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বসুরহাট হাসপাতাল রোডে এ ঘটনা ঘটে। সাহাব উদ্দিন চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আহম্মদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ইব্রাহিম, ইসমাইল, সাব্বির ও বাহাদুরসহ ১০-১৫ জন হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনকে ক্ষুর (ধারালো ছুরি) দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় বাঁচাতে গেলে তার প্রবাসী ভাই বেলাল হোসেনকেও (৩৭) আহত করে।

তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

 

খবর নিয়ে জানা গেছে, হামলাকারীরা চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মতিন তোতার ছেলে ও তাদের বন্ধু। গত বছরের ৩০ আগস্ট সন্ত্রাসী হামলায় তোতা নিহত হন। ভুক্তভোগী সাহাব উদ্দিন ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সম্প্রতি তিনি কারাগার থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন।

এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সন্ধ্যায় বসুরহাটে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপি নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার ও সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের ছত্রছায়ায় চরএলাহীর তোতা চেয়ারম্যানের ছেলেরা  চাঁদাবাজি করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করায় আজ (রোববার) বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনকে তারা হত্যা চেষ্টা করেছে। অবিলম্বে এ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।B

 

পরে ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যানের ছেলে ইব্রাহিম তোতা (৪৭)। ৫ আগস্টের পর থেকে চরএলাহী ঘাট দখলসহ ব্যাপক চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া তিনি চরবালুয়ার চাঞ্চল্যকর মা-মেয়ে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে বারবার ফোন দিলেও তিনি কেটে দেন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, দুইপক্ষ আমাদের দলের নেতাকর্মী। তবে তোতার ছেলেদের আমরা প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মাদ ফৌজুল আজিম জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে অভিযানে নেমেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।