Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সদস্য সচিব হয়েছেন মো. মাহদীজ্জামান জ্যোতি। আগে দলীয় কোনো পদ না থাকলেও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী সরাসরি পেয়েছেন সদস্যসচিব পদ। এ নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, মো. মাহদীজ্জামান জ্যোতি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের আপন ছোট ভাই। ফলে স্বজনপ্রীতির ব্যাপারটিই সামনে আনছেন অনেকেই।

আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাবি ছাত্রদলের ১৮টি হলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় এক বিজ্ঞপ্তিতে। ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতেই স্যার এ এফ রহমান হলের সদস্য সচিব হিসেবে জ্যোতির নাম প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, নতুন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান মুন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে কমিটির সদস্যসচিব পদ দিয়েছেন মো. মাহদীজ্জামান জ্যোতি। মুন্না ২০২২ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। 

ছাত্রদলের একটি সূত্র জানায়, স্যার এ এফ রহমান হল কমিটিতে নিজের ভাই জ্যোতিকে সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিপন জোর তদবির করেন। এমনকি দাবি না মানা হলে তিনি কমিটির অনুমোদনের কাগজে স্বাক্ষর করবেন না বলেও হুমকি দেন। এতে ১৮টি হল কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং অন্যান্য হল কমিটি যাতে স্থবির না হয়, সেই প্রয়োজনে শিপনের দাবির প্রতি নমনীয় অবস্থান নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নতুন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ২০২২ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শ বুকে লালন করে রাষ্ট্রযন্ত্রের বুট-বুলেটের সামনে বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আন্দোলন পরবর্তী বিশাল বিশাল সুযোগ সুবিধার প্রস্তাবনা পাওয়া স্বত্ত্বেও মা, মাটি, মানুষ ঘিরে নিজের আদর্শ বিক্রি করিনি। অথচ আজকে আমার ত্যাগ, তিতিক্ষা ও বিশ্বস্ততার প্রতিদান দিলেন ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন নেপোটিজম করে তার নিজের আপন ছোট ভাইকে আমার জায়গায় বসিয়েছে। চমৎকার!

ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে যারা আমাদের প্রাথমিক সদস্য পদ পূরণ করে আমাদের সাথে থেকেছে এবং অভ্যুত্থানের আগেও আমাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো, তাদেরকে আমরা কমিটিতে রাখার চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি কেউ পরিচয় গোপন করে থাকে তাহলে আমরা সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো। আমরা ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।