Image description
 

কক্সবাজার সফরে আসা এনসিপির শীর্ষ নেতারা এখনো হোটেলেই অবস্থান করছেন। তবে সকালে সার্জিস আলম ও তার স্ত্রী হোটেল থেকে গাড়ি যোগে ঘুরতে বের হলেও এখনো ফিরেননি।

 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় এনসিপি নেতাদের অবস্থান করা হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

হোটেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বেলা ১২টা পর্যন্ত এনসিপি নেতারা হোটেল কক্ষ বুকিং রেখেছিলেন। কক্ষ ছাড়ার সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো হোটেলে অবস্থান করছেন তারা।

হোটেল কর্তৃপক্ষসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে সার্জিস ও তার স্ত্রী ঘুরতে বের হওয়ার পর থেকে হোটেলে এখনো এনসিপির ৪ নেতা অবস্থান করছেন। সার্জিস ও তার স্ত্রী গাড়িযোগে বান্দরবান ঘুরতে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের সফর সূচী সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ইয়াকুব আলী বলেন, এনসিপি নেতারা বেলা ১২টায় পর্যন্ত হোটেল কক্ষ বুকিং রেখেছিলেন। সকাল দুইজন সস্ত্রীক ঘুরতে বের হলেও এখনো হোটেল ফিরেননি। তবে অন্যরা এখনো হোটেলে অবস্থান করছেন।

এনসিপি নেতারা হোটেল কক্ষ নতুন করে বুকিং না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার কক্সবাজার অবস্থান করবেন নাকি ছেড়ে দেবেন নিশ্চিত নন বলে জানান তিনি।

৫ আগস্ট হঠাৎ করে কক্সবাজারে আসেন এনসিপির পাঁচ শীর্ষ নেতা। তারা হলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারা, নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী, খালিদ সাইফুল্লাহ ও সার্জিসের স্ত্রী আয়শা খানম। এরপর থেকে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এই গুঞ্জনের মধ্যে উখিয়ার ইনানীস্থ সী পার্ল হোটেলে এক রাত অবস্থান করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে উঠেন।

বুধবার দুপুর পৌনে ১টায় এনসিপি নেতাদের দলটি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানীস্থ সী পার্ল হোটেল ত্যাগ করেন। দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে পৌঁছান। পরে সেখানে শালিক রেঁস্তোরা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে খাবার খান। খাবার শেষে বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন অভিজাত হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে উঠেন।

স্থানীয় নেতাদের একটি সূত্র বলছেন, সারজিস আলম ও তার স্ত্রী আয়শা খানম সকালে গাড়িতে চড়ে হোটেল থেকে বের হন। এরা দুই জন বান্দরবান ভ্রমণে গেছেন। ওখান থেকে রাতেই হোটেলে ফিরতে পারেন।