
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ২০১৭ সালের ১৪ জুন যোগদান করার পর ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে ব্যাপকভাবে অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, ও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জালিয়াতি, ভর্তি বাণিজ্য, হয়রানি, নির্যাতন, নিপীড়ন আর স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যেতেন। ২০২১ সালে ১৪ মার্চ তার ১১১টি অনিয়ম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল বেরোবির অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। সেখানে এমন অভিযোগ উঠে আসে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গ্রেপ্তার করা হয় নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে। পরে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে দুদক। এরপর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুনানিতে অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে আদালতে বিচারক বলেন, ‘আপনি তো ফুলটাইম ঢাকায় থাকতেন। ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতেন।’
তখন অধ্যাপক কলিমউল্লাহ বলেন, ‘না, আমি ১৭-১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে। ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করেছিলাম বলেই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনকে আসামি করে গত ১৮ জুন দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।