Image description
 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক সময়ে যে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে তাদের উন্নয়ন হলেও বাংলাদেশ এখনো সে জায়গায় যেতে ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় এ দেশের মেধাবীরা কখনো এড়াতে পারেন না। মেধাবীরা মেধার কথা বলে, দুর্নীতির কথা বলে, আবার সুযোগ পেলে তারাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবির আয়োজিত শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রশিবির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বলেন, এখন দেখেন সমন্বয়ক হয়ে আবার চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, দুর্নীতিসহ নানা অপরাধে জড়িত হয়ে ধরা পড়ছে। এটা কি আমাদের প্রত্যাশিত সমাজ? দেশে আজ জনসংখ্যা বাড়ছে; কিন্তু প্রকৃত মানুষ কমে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ, সহানুভূতি ও নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। পাথর মেরে হত্যা, সম্পদের লোভে ভাইকে হত্যা, মাদকের কারণে পিতাকে জবাই করে হত্যা—এসব কীসের পরিচয়? আমরা কেমন সমাজ গড়ে তুলছি? যেখানে ইসলামী শিক্ষা রয়েছে, সেসব সমাজে ধর্ষণ, আত্মহত্যা, পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা খুবই কম।

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ছাত্রশিবির সেক্রেটারি বলেন, যেসব সমাজে কেবল পশ্চিমা দর্শন ও ভোগবাদী জীবন দর্শন প্রচলিত, সেখানে আত্মহত্যার হার বেশি, সামাজিক বন্ধন দুর্বল। কারণ, তারা সামাজিকীকরণের মূলনীতিই ভুলে গেছে। পশ্চিমা সংস্কৃতি মানুষকে কখনোই প্রকৃত শান্তি দিতে পারে না। যদি দিত, তাহলে তারা নিজেদের সুখের জন্য অন্য জাতিকে ধ্বংস করত না।

 
 

তিনি বলেন, আজকের এই কৃতী শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের সোনার বাংলাদেশের স্থপতি। তাদের শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়, নৈতিকতা, আদর্শ ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা নিতে হবে। নিজেদের আলোকিত করার মাধ্যমে তারা দেশকেও আলোকিত করবে—এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

 

এ সময় ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির এইচআরজি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, সাবেক নায়েবে আমির মুসাদ্দেক ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালেদ হাসান জুম্মন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন অতিথিরা।