Image description
 

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

 

একইসাথে, সালিশে ধার্য করা ১ লাখ টাকা স্থানীয় এক ইউপি সদস্য নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের আবাদপুর মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে রিপন মোল্লা নামে এক যুবককে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করা হয়।

বুধবার এলাসিন ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন এবং ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেলের মধ্যস্থতায় একটি সালিশ বসে। সালিশে রিপনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। চেয়ারম্যানের নির্দেশে রিপনের কাছ থেকে সেই টাকা আদায় করে মেম্বার সোহেলের কাছে রাখা হয়। তবে, ভুক্তভোগী নারী সেই টাকা পাননি বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মানিক রতন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও জরিমানার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, মেম্বার সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান ও অন্য এক নেতা মিলে টাকার ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন। তার দাবি, ভুক্তভোগী নারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং স্থানীয় একটি ক্লাবে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চেয়ারম্যান মানিক রতনের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে এবং তিনি সম্প্রতি একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে আছেন।