Image description

প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে কেউ দলীয়, কেউ স্বতন্ত্র আবার কেউবা শিক্ষার্থীবান্ধব নানা নামে প্যানেল গঠনের চেষ্টা করছেন। 

গত ২৯ জুলাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই ভোটার থেকে প্রার্থী সবার মনেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে নির্বাচন। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা, নির্বাচনি আচরণবিধি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ৩৯ হাজার ৯৩২ জনকে ভোটার করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১১ আগস্ট বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১২ আগস্ট থেকে শুরু হবে মনোনয়নপত্র বিতরণ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মনোনয়নপত্র বিতরণের আগ মুহূর্তেই ছাত্রসংগঠন ও অন্যরা প্যানেল গঠনে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।

প্যানেল গঠনের পথে ছাত্রসংগঠনগুলো

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রসংগঠনগুলো প্যানেল দিতে বেশ কড়া হিসাব-নিকাশ করছেন। শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যদের প্রার্থী হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এসব প্যানেল গঠনে। অনেকে প্যানেল শীর্ষ পদে প্রার্থীও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। কেউবা অপেক্ষায় চূড়ান্ত ঘোষণার। তবে কেউ কেউ এখনো প্যানেল গঠনে তেমন মনোযোগই দেননি। যদিও ব্যক্তি পর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কৌশলে সরব থাকার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ভিন্ন-ভিন্ন প্যানেল তৈরির জন্য আলোচনা করছেন। এ ছাড়া বামধারার সংগঠনগুলো থেকেও একটি প্যানেল আসতে পারে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে সংগঠনগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ জোর আলোচনা চলছে। এ ছাড়া, ব্যক্তিপর্যায়ে প্যানেলবিহীন স্বতন্ত্র প্রার্থী তো রয়েছেই।

বেড়েছে পদ, আলোচনায় যারা

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদ ছিল। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি পদ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্য একজন শিক্ষক ডাকসুর সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদ তিনটি সবচেয়ে আলোচিত। এসব পদে প্রতিটি দল থেকেই শক্ত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে হল সংসদের গঠনতন্ত্রের ১৭ ও ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হল সংসদ নির্বাচনে ১৩টি পদ অপরিবর্তিত রয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্রদলের প্যানেল নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত আলোচনা না হলেও ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম খান, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও কবি জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক শেখ তানভীর বারী হামিম ছাত্রদল থেকে ভিপি-জিএস পদে লড়াইয়ের আলোচনায় রয়েছেন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম, ঢাবি শাখা শিবিরের বর্তমান সভাপতি ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এসএম ফরহাদও আলোচনায় রয়েছেন। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদও শীর্ষ দুই পদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। ভিপি পদে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের এবং জিএস পদে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদারের নাম চূড়ান্ত করে আংশিক প্যানেলের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে আলোচনায় রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র এবং ঢাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা। এ ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ আলোচনায় রয়েছেন।

এ ছাড়া বাম ধারার ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছেন ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঢাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর জাবির আহমেদ জুবেল, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক। পাশাপাশি ব্যক্তি স্বতন্ত্র পর্যায়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফত চৌধুরী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসাইন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদের নাম বেশ আলোচনায় রয়েছে।

প্যানেল গঠন নিয়ে যা বলছে ছাত্রসংগঠন এবং আলোচিতরা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা একটি ইনক্লুসিভ প্যানেল দেওয়ার জন্য কাজ করছি, এখনো পুরোপুরিভাবে ঠিক হয়নি। অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক এবং আগে যারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সরব ছিল, তাদেরকে আমাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করব। আমরা সর্বাধিক সংখ্যক নারী প্রার্থী প্যানেলে রাখার পাশাপাশি আদিবাসী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নিয়ে আমরা ইনক্লুসিভ একটি প্যানেল গড়ে তুলতে চাই।’

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের মাঝে আলাপ-আলোচনা এবং প্রস্তুতি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত প্যানেলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি।’ ১৭ বছর ধরে ছাত্রলীগ করে কিংবা গুপ্ত থেকে নানা কায়দাকানুনে হলে ছিল, যেকোনোভাবে তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে কিন্তু ছাত্রদলের তো সেটি ছিল না। সেই জায়গা থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি। নানা অজুহাতে মৌলিক সংস্কার পিছিয়ে দিয়ে যদি ডাকসু নির্বাচন হয় সেই ডাকসু কোনোভাবে কার্যকর ও ইতিবাচক হবে না।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্যানেলের নাম ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ। মূলত এই প্যানেলটিতে যারা দীর্ঘসময় ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই-সংগ্রামে নিয়োজিত রেখেছিল এবং অভ্যুত্থানে অংশ রেখে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সরব ছিল, তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘আদর্শে বৈচিত্র্য, অধিকার আদায়ে একতাবদ্ধ এবং চিন্তায় অগ্রসর শিক্ষার্থীদের একটি স্বতন্ত্র প্যানেল দিতে আমরা কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি ট্যাগলাইনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্যানেল দিলে হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করব। ইতোমধ্যে অনলাইনে অনেকেই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।’

এক হয়ে প্যানেল দিতে পারে বাম সংগঠনগুলো

বাম ধারার ছাত্রসংগঠনগুলো একতাবদ্ধ হয়ে একটি প্যানেল দেওয়ার কথা ভাবছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটসহ (বামপন্থি, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট) অপরাপর বামপন্থি যেসব সংগঠন রয়েছে, এর পাশাপাশি বিশেষ করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি পর্যায়ে যারা কি-না সাম্প্রদায়িক না এবং শিক্ষা সংক্রান্ত দাবি নিয়ে কাজ করে তাদেরকে আমরা সঙ্গে নিয়ে প্যানেল দিতে চাই।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্যানেল চূড়ান্ত না হলেও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটভুক্ত সংগঠন এবং অন্যান্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে প্রগতিশীল একটি ঐক্যবদ্ধ প্যানেল তৈরির চেষ্টা আমাদের অনেক দিন ধরেই চলছে এবং আমরা অনেকদূর এগিয়েও গেছি, খুব শিগগির হয়তো আমরা অফিশিয়াল ঘোষণার মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করব।’
প্যানেলের ফাঁদে পা দিতে চান না স্বতন্ত্ররা

প্যানেলের বাইরে নিজেদের স্বতন্ত্র ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে চান অনেক প্রার্থী। যাদের মূল শক্তিই শিক্ষার্থীরা। এই শক্তিই তাদের এগিয়ে রাখবে বলে বিশ্বাস অনেকের। 

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী বলেন ‘বিগত সময়ে আমরা দেখেছি দলীয় ছাত্রসংগঠনের নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও মাদার পার্টির পারপাস সার্ভ করতে তৎপর থাকেন। ফলে শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা সবসময় উপেক্ষিত হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবারের ডাকসু নির্বাচনে নির্দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চে কাজ করার সুবাদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমার কাজ করার একটি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের পালসকে প্রাধান্য দিয়ে আমি আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইংরেজি বিভাগের শামীম হোসাইন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দরকার। যিনি ছাত্রদের জন্য কথা বলবেন, শিক্ষার্থী ভয়েস হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করবেন। এখন আমি যদি কোনো প্যানেল থেকে প্রতিনিধিত্ব করি, তখন বিষয়টি এমন দেখাবে যে, আমি তো তাদেরই নেতা এবং অমুক ব্যক্তির আদর্শ প্রচার করি। আমার তো এমন কোনো আদর্শ নেই। আমার আদর্শ একটাই, যখন আমার কোনো ছোট ভাই-বন্ধুরা কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হবে তখন তাদের সেই ভয়েসটা রেইজ করার জায়গা তৈরি করে দেব এবং সেই ভয়েসটি হব আমি।’ 

এবারের নির্বাচনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের তুলনায় ২০২৫-এর ডাকসু নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে অনেক বেশি। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পক্ষের যেসব শক্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে একটি কঠিন প্রতিযোগিতা হবে বলে মনে করেন ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এবারের ডাকসু নির্বাচনে জুলাই বিপ্লবের পক্ষের যেসব শক্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে একটি কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে কতটা প্রাধান্য দেবে সেটি বলতে পারছি না।’