Image description

সাংবাদিক বড় ভাই বা বন্ধুদের কেউ কেউ আমার কিছু কথাবার্তায় হয়তো মনে করবেন আমি একটু বেশি কড়া করে কথা বলি সাংবাদিকদের সমালোচনা করতে গিয়ে! কিন্তু ভাই-বোনেরা আপনারা বলেন, একটা আউটরাইট ভুয়া খবরকে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ছড়িয়ে এরপর এইটাকে অন্যরা যখন ভুয়া হিসেবে নিশ্চিত করলো তারপরও একজন সিনিয়র সাংবাদিক হয়েও সেই ভুয়া ব্রেকিং নিউজটি ছড়ানোর কাজটিতে এভাবে প্রাইড নেয়ার যে ব্যাপারটা সেইটাকে কিভাবে সমালোচনা করবেন? মানে, কিভাবে সম্ভব এটা? কতটা গান্ডু হওয়া লাগে ভুয়া খবরকে ব্রেকিং হিসেবে ছড়িয়ে, সাধারণ মানুষ এবং অন্য মিডিয়াকেও বিভ্রান্ত করে এরপর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে?! ইনারা বাংলাদেশে বড় সাংবাদিক। হেহেহে।

পিটার বিষয়ক আরেকটু আপডেট দেই। মেক্সিকোতে বাংলাদেশের এম্বাসেডর মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে গত রাতে কথা হলো। উনি হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা পিটারকে নিয়ে কী সব ছড়াইতেছো! ওর সাথে তো আমার একটু আগে কথা হইলো। সে ডিসিতে আছে।

মুশফিক ভাই আরো বললেন, ”আমি যখন ওরে বললাম তোমাকে নিয়ে তো এখন বাংলাদেশের মিডিয়াতে হেডলাইন হচ্ছে!’ উত্তরে পিটার বললে ‘সাম থিংস নেভার চেঞ্জ’।”

পিটার বাংলাদেশের মিডিয়াকে তো চেনে। তার কথাতে বাংলাদেশের মিডিয়ার প্রতি স্পষ্ট একটা তাচ্ছিল্য আছে। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ঢাকার সিনিয়র অনেক কূটনৈতিক যাদের সাথে পরিচয় আছে তারা দেশি বড় বড় মিডিয়াতে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ খবরের লিংক আমাকে মাঝে মাঝেই পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তোমার সোর্স বা অবজারেভশন কী বলে এই খবরটার বিষয়ে? মানে, তারা অনেক সময়ই দেশের মূল ধারার মিডিয়ার রিপোর্টের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন না। তো, এই হইলো আমাদের সাংবাদিকতার অর্জন! আম পাবলিকের ট্রাস্টও নাই, বিদেশিদেরও ট্রাস্ট নাই।

 

কদরুদ্দিন শিশির