
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
ডিএমপি জানায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংস কর্মকাণ্ড, সংঘর্ষ এবং উসকানিমূলক প্রচারণায় জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ লিপি (৪৬), গাইবান্ধা-সদরের সাবেক এমপির এপিএস শাহ মুহাম্মদ সবুর হোসেন (৪৮), গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ বিপুল খন্দকার ওরফে বদি (৪০), অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কামাল পাশা চৌধুরী (৬৫), কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সোহাগ মিয়া ওরফে মির্জা (৩৩), ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মতলব মুন্সী (৫৫), কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন সরকার (৫৮), বগুড়া যুবলীগ নেতা মো. আইয়ুব আলী তরফদার (৪৭), বংশাল থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান টিটু (৪৮), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমানউল্লা হোসেন অপু (৫৯) ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম (৩৮)।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সুলতানা আহমেদ লিপিকে কদমতলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের’ একাধিক মামলা রয়েছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহ মুহাম্মদ সবুর হোসেন ও শাহ বিপুল খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয়।
সাইবার অপরাধ দমন বিভাগ অনলাইন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কামাল পাশা চৌধুরীকে। মগবাজার থেকে সোহাগ মিয়াকে এবং পল্লবী থেকে মতলব মুন্সীকে ও বংশাল এলাকা থেকে সাইদুর রহমান টিটুকেও গ্রেফতার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।
ভাটারা থানা এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম এবং দক্ষিণ বেগুনবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ আমানউল্লা হোসেনকে। এছাড়া রমনা থানা এলাকা থেকে রমিজ উদ্দিন সরকার এবং তেজগাঁও এলাকা থেকে আইয়ুব আলী তরফদারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।