Image description

সর্বশেষ সিরিজে মিরপুরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের এই অর্জন অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়, পিচ নিয়ে সমালোচনায়।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে পাকিস্তানের কোচ, অধিনায়ক-কেউই বাদ যাননি পিচ নিয়ে কটু কথা বলতে। অনেকেতো মিরপুরের পিচকে ‘ধানক্ষেতের’ সঙ্গে তুলনা করেন। তখন অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটবোদ্ধা কিংবা ক্রিকেটারদের অনেকে পিচের হয়ে সাফাই গান। তারা বলেন, ওত বেশি সমালোচনা করার মতো পিচ ছিল না। বরং পাকিস্তানি ব্যাটাররাই মানিয়ে নিতে পারেননি।

তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা আজ থেকে নয়, বহুদিনের। ধীরগতির ও বল নিচু হয়ে যাওয়ার জন্য বেশ ‘দুর্নাম’ আছে এই পিচের। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কারো কারো মুখ থেকেই শোনা গেছে, মিরপুরে খেললে ব্যাটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে।

এবার মিরপুরের পিচকে অসন্তোষজনক বললেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ধরনের পিচ তৈরি করার নির্দেশনা কখনও দেওয়া হয়নি, এমন দাবিও করেন তিনি।

ফাহিম বলেন, ‘আমি মনে করি একটি স্পোর্টিং উইকেট তৈরির চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। এর দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়, যারা উইকেট তৈরি করে। কারণ আমাদের পক্ষ থেকে, বোর্ডের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি যে উইকেটকে লো অ্যান্ড স্লো করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যখনই আমরা ভালো, বাউন্সি উইকেট চেয়েছি, তখন সেটি আমরা পাইনি। এর জন্য সাধারণত যে কারণগুলো দেখানো হয়, তা হলো মাটির প্রকৃতি, পরিবেশ কিংবা পিচে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলা হয়ে যাওয়া।’

‘সার্বিকভাবে মিরপুরের উইকেট সন্তোষজনক নয়, এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সম্ভবত পুরো মাটির স্তরটাই সরাতে হবে, অথবা পিচ তৈরির প্রক্রিয়া বদলাতে হবে। আমি আশা করি, শিগগিরই কিছু পরিবর্তন আসবে এবং আমরা মিরপুরে আরও ভালো উইকেট দেখতে পাবো’-আশা ফাহিমের।

সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পিচ তৈরিতে ব্যবহৃত কালো মাটির কারণে ব্যাটারদের বল দেখতে সমস্যা হয়। ফাহিমও তার সেই মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

তিনি বলেন, ‘উইকেটে যদি ঘাস থাকতো, তাহলে বলের রঙ এতটা নষ্ট হতো না। যেহেতু প্রাকৃতিক ঘাস নেই, বল যখন মাটির সঙ্গে ঘষা খায়, তখন সেটি মাটির রঙ শোষণ করে নেয়। একপর্যায়ে বল আর সাদা থাকে না, বরং কালচে হয়ে যায়। এতে ব্যাটারদের বল দেখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সঠিক পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সঠিক মন্তব্যই দিয়েছেন।’

শীর্ষনিউজ