
দীর্ঘ কয়েক মাস হতাশার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের (এনসিসি) আলোচনায় যথেষ্ট ভালো খবর এসেছে, যা আমাদের আনন্দিত করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১৬টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, যার কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু দল ভিন্নমত জানালেও বিরোধিতা করেনি। ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৪টি বৈঠক এবং ২ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি দলের সঙ্গে ২৩টি বৈঠকের মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল আনতে পেরেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে না যায়, তাহলে সেগুলো আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির গতিপথ পাল্টে দিতে পারে।
যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো—নিম্নকক্ষের নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে (পিআর) সংসদের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের অনুমোদন। এটি আমাদের সংসদের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক গতিপথে একটি গুণগত পরিবর্তন আনবে, যা চাটুকারিতা ও সস্তা বাগাড়ম্বরের পরিবর্তে পরিপক্বতা ও গভীর বিশ্লেষণের দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
একজন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি যথাযথ আলোচনা ও সত্যিকার অর্থে 'পারস্পরিক ছাড়ের' প্রতিফলন। এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত, বিশেষ করে যেহেতু এটি কার্যত দলের প্রধানের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলবে। যদিও বিএনপি ভিন্নমত পোষণ করে এটি মেনে নিয়েছে, তবে একটি উল্লেখযোগ্য ছাড় এবং তাই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়টি কমিশনের আরেকটি মাইলফলক। বছরের পর বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, যা প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনয়ন ছিল, তা ক্রমেই খামখেয়ালি ও স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছিল। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের নির্বাচন, যিনি টিভিতে বলেছিলেন যে তিনি জানতেনই না, কারণ তাকে কখনো জিজ্ঞাসাই করা হয়নি। এখানে আরও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, কীভাবে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। তাই রাষ্ট্রপ্রধানের এই পদে নির্বাচনের একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এখন অতীব জরুরি। যেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রীদের ক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি, তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত।
যে অন্যান্য বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, যাতে অনাস্থা প্রস্তাব ও অর্থবিল ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে; চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলের জন্য বরাদ্দ রাখা; নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদানের বিষয়ে দিকনির্দেশনা নির্ধারণ; হাইকোর্ট বিকেন্দ্রীকরণ; প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি; নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা; একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, যাতে জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা যায়; প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ পৃথক করা, যাতে একজন ব্যক্তি একইসঙ্গে উভয় পদে থাকতে না পারেন; এবং ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধী দল থেকে নিয়োগে সম্মতি। যে দলগুলো এগুলোতে একমত হননি, তারা ভিন্নমত দিয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা হলো—পুলিশের জন্য একটি স্থায়ী ও স্বাধীন কমিশন গঠন। পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক অপব্যবহার করেছিলেন শেখ হাসিনা, যার ফলে অন্তত এক হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। পুলিশ রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যার মানসম্পন্ন সেবা সাধারণ মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। কিন্তু এই বাহিনীর নানামুখী ব্যর্থতা এটিকে জননিরাপত্তা ও শান্তির জন্য একপ্রকার হুমকিতে পরিণত করেছে।
পুলিশকে একটি স্বাধীন কমিশনের অধীনে আনা হলে তা রাজনৈতিক ক্ষমতাধারীদের দ্বারা এর অপব্যবহার রোধে সহায়ক হবে। পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কি এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাবে? বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় থাকার যথেষ্ট কারণ আমাদের আছে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের পথে প্রধান বাধা হতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়। কারণ আমলারা সাধারণত তাদের ক্ষমতা হারাতে চান না। তবে একটি স্বাধীন কমিশন, যা হবে দূরদর্শী, স্বচ্ছ এবং জনগণ ও সংসদের কাছে জবাবদিহিমূলক, তা আমাদের পুলিশ বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের ওপর বিরাট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তবে নারী আসন নিয়ে সমঝোতাটা বেশ হতাশাজনক। আগের মতোই ৫০টি সংরক্ষিত আসনের বিধান বহাল থাকছে। নতুনভাবে ঐকমত্য হয়েছে যে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের অন্তত পাঁচ শতাংশ নারী হতে হবে।
বাস্তব অর্থে, এটা তাৎপর্যপূর্ণ কিছু না। যদি নির্দিষ্ট নারী-সংরক্ষিত আসনের বিধান না থাকে, তাহলে নারী প্রার্থীদের পুরুষ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, যা ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের জয়েই শেষ হয়। মোট আসনের হিসাব বিবেচনায় রেখে সম্ভাব্য ফলাফল জেনে, সব রাজনৈতিক দল, বিশেষত বড় দলগুলো নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে তাদের সবচেয়ে দুর্বল আসনগুলোতে।
এটা নারীদের প্রতি সবচেয়ে বড় অবিচার। কারণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের প্রশ্নাতীত ত্যাগ এবং ব্যাপক ও কার্যকর অংশগ্রহণ ছিল। এই নতুন বাংলাদেশে, 'নতুন বন্দোবস্তে' নারীদের সংসদীয় প্রতিনিধিত্বে আদতে নতুন কিছুই নেই। লক্ষণীয় যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ছিলেন পুরুষ এবং কমিশনের কোনো নারী সদস্যও ছিলেন না। এক বা দুজন নারী সামান্য সময়ের জন্য অংশ নিয়েছিলেন মাত্র। ফলে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটারের কোনো কার্যকর প্রতিনিধিত্বই সংস্কার প্রণয়নের সময় ছিল না। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ছিল সম্ভবত সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংস্কার কমিশন, যার সুপারিশগুলো প্রায় উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। যদি আসন্ন নির্বাচন আমাদের নতুন গণতান্ত্রিক যাত্রার সূচনা করে, তবে সেটি শুরু হবে নারীকণ্ঠ অনুপস্থিত রেখেই।
এখানে দুটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, গত তিন দশকের রাজনীতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই শক্তিশালী নারী: খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। তবু নারীদের অধিকার এখনো বাস্তবায়িত হয়নি এবং তাদের অবদান মূলত স্বীকৃত হয়নি।
দ্বিতীয়টি হলো—প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যার উদ্ভাবিত মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থা তাকে এবং তার প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতির পাশাপাশি নোবেল শান্তি পুরস্কারও এনে দিয়েছিল এবং যিনি প্রায় সম্পূর্ণরূপে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নেই মনোনিবেশ করেছিলেন, তিনিই এখন এমন একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যেখানে নারীদের অংশগ্রহণ সামান্য এবং এর সম্ভাব্য সুফল আরও কম।
আমাদের দৃষ্টিতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর দুটি মৌলিক কারণ রয়েছে—১. নির্বাহী বিভাগকে আইনসভা ও বিচার বিভাগের ওপর লাগামহীন ক্ষমতায় রাখার ইচ্ছা, এবং ২. আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রকৃতি ও ইতিহাস।
১৯৭২ সাল থেকে সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে নির্বাহী বিভাগ সর্বদাই বেশি ক্ষমতা ভোগ করেছে। এর সূচনা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে, যার কারণে সাংবিধানিক শক্তিশালী অন্য সব প্রতিষ্ঠানগুলোও ম্লান হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও চিফ হুইপ থেকে শুরু করে সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা করতেন এবং আইনগত ও নৈতিক ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতেন না। নির্বাহী বিভাগ ছিল অপর দুই বিভাগের ওপরে। এরপর সামরিক হস্তক্ষেপের সময় জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে নির্বাহী বিভাগের হাতেই ক্ষমতার কেন্দ্র থাকে। দেশে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরে এলে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাহী বিভাগ আরও শক্তিশালী হয়, ফলে অন্য দুটি বিভাগের ভূমিকা ও গুরুত্ব ক্ষুণ্ন হয়।
বলার অপেক্ষা রাখে না, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সেই প্রবণতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।
আমাদের সংবিধানে ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। এ কারণে একজন ব্যক্তি যেন একযোগে সরকারপ্রধান ও দলপ্রধানের দুটি পদে অধিষ্ঠিত না হতে পারেন, এই দাবিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষমতা বিভক্ত করতে হবে। না হলে বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের আধিপত্য কখনোই বন্ধ হবে না এবং বাংলাদেশে ক্ষমতার বিভাজন ও জবাবদিহিতার চর্চা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।
দীর্ঘদিন ধরে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ বিচারব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। স্বাধীনচেতা বিচারপতির পরিবর্তে আমরা পেয়েছি মেরুদণ্ডহীন তোষামোদকারী। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে প্রথমে আদালত থেকে সরানো, পরে দেশত্যাগ করানো।
তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি, সম্ভাব্য পরবর্তী শাসক দল বিএনপি বর্তমান সংবিধানে যেভাবে বিচার বিভাগের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, সেখান থেকে সরে এসে পুরোনো পদ্ধতি যতটা সম্ভব টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে।
আরেকটি গুরুতর বিষয় হলো আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। আমরা সাংবিধানিক, কাঠামোগত, প্রক্রিয়াগত ও আইনি যেসব সংস্কারই করি না কেন, যদি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও মানসিকতার পরিবর্তন না হয়, তাহলে গণতন্ত্র, সুশাসন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার দিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হবে।
সংস্কার সংলাপে যে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি তা হলো—আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্র, যেখানে দলের প্রধানের হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে এবং সেই ক্ষমতা ব্যবহারে স্বেচ্ছাচারিতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে, যা রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক করে তোলে। দলীয় গঠনতন্ত্রে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, বাস্তবে সব ক্ষমতা দলপ্রধানই প্রয়োগ করেন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে অনেক স্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া থাকলেও তৃণমূলের নেতারা বৈঠক করে 'সিদ্ধান্ত' নেন দলপ্রধানকে সব সিদ্ধান্ত নিতে 'অনুরোধ' জানাবেন—বিশেষত যেসব পদে নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার কথা।
বিএনপির গঠনতন্ত্রে দলপ্রধানকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই, এমনকি দলীয় নিয়মে নির্বাচিত কমিটিগুলোও তিনি ভেঙে দিতে পারেন।
প্রশ্ন উঠতেই পারে—অগণতান্ত্রিক দল কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করবে? তাই রাজনৈতিক দলের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডকে আরও গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। তৃণমূল নেতাদের কণ্ঠস্বর ও ক্ষমতা থাকতে হবে।
যদি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হয়, তবে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যপ্রণালীতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। তাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাফল্য উদযাপন করতে গিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোয় রাজনৈতিক দলগুলোকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে, এখনো প্রবল সংশয় রয়ে যায়—ক্ষমতায় যাওয়ার পর তারা কেমন আচরণ করবে। আমরা বারবার দেখেছি, একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গেলে তাদের রূপ পাল্টে যায়।
মাহফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার