Image description
 -তারেক রহমান রাজনীতি থেকে পালিয়ে যাননি, বরং বাংলাদেশের স্বৈরশাসনের শিকার হয়ে রাজনৈতিক নির্বাসনে আছেন।
 
 -তিনি কোনো প্রাসাদে থাকেন না, বরং লন্ডনের একটি মধ্যবিত্ত এলাকায় পরিবার নিয়ে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।
 
-যতদূর জানি তারেক রহমানের নিজের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, পারিবারিক কিছু সম্পদও রয়েছে, যা তাঁর পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের বৈধ উপার্জন থেকেই এসেছে।
 
 -তাঁর স্ত্রী একজন হাইলি কোয়ালিফাইড ডাক্তার, মেয়ে ব্যারিস্টার। নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের পেশাগত এনগেইজমেন্ট প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
 
-বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীরা অনেকেই ব্যবসা করেন, স্বেচ্ছায় সহায়তাও করতে পারেন! কারণ তারা তারেক রহমানকে ভবিষ্যতের জাতীয় নেতা হিসেবে মানেন। রাজনৈতিক দলের কোনও নেতাকে এরূপ অবস্থায় সাপোর্ট দেয়া মানে দেশের রাজনীতিকে প্রকারান্তরে দেশের সার্বভৌমত্বকেই সাপোর্ট করার নামান্তর! সারা ইউকে জুড়ে কতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে? এদের মালিকদের কমপক্ষে ৫০ ভাগ বিএনপির সাপোর্টার। এসব মালিকগণ যদি তাদের নেতা বা দলকে সাপোর্ট করেন, সেটা কি অন্যায় হয়েছে?
 
-বিএনপি একটি বৃহৎ সংগঠন, যেখানে হাজার হাজার মানুষ তার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত—এটাই বিএনপি / তারেক রহমানের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
 
-উপরের এই সোর্সগুলোর কোনটি থেকে তাঁর খরচের জন্যে কত আসে তা জানানো কি জরুরি? তারপরেও এসব নিয়ে প্রশ্ন করা স্টুপিডিটি ছাড়া কিছু নয়।
আবার দেখুন,
 
- শেখ রেহানা লন্ডনে বহু বছর ধরে থাকেন, অথচ তাঁর জীবনযাপন নিয়ে কোনও খালেদ মহিউদ্দিনরা প্রশ্ন তোলে নাই ।
 
 -সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কানাডায় জীবনযাপন করেছেন—সেটি কার টাকায় হয়েছে ? সেই প্রশ্ন আজও কেউ তোলে নাই।
 
এখন এসব ইতরামি প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মিডিয়া সেল কিংবা বিএনপি সংশ্লিষ্ট কিছু পেইজ থেকে তারেক রহমানের লন্ডনে বাসে চলাফেরা নিয়ে যে সব ছবি প্রকাশ করছে, সে সবের খুব প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তবে এসব ছবি কারও ব্যক্তিগত পেইজ থেকে প্রকাশ করলেই ভালো হতো।
 
এসব ছবি 'পলিটিকেল ডিসপ্লে' অপবাদের ঝুঁকিতে পড়ে যায়।
কারণ এই কিছিমের ছবি আমরা শেখ হাসিনা বা শেখ রেহানাকে নিয়ে দেখতাম। শেখ হাসিনা ২০ টাকার টিকেট কেটে চোখের ডাক্তার দেখাচ্ছেন কিংবা শেখ রেহানা লন্ডনে বাসে চড়ে যাচ্ছেন।