Image description

ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে রায়েরবাজার কবরস্থানে নির্মাণাধীন গণকবর পরিদর্শন করতে গিয়েই মেজাজ হারালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার সকালে পরিদর্শনের সময় তিনি লক্ষ্য করেন, শহীদদের কবরের ভিত্তি নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও খোয়া। তাৎক্ষণিকভাবে নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন উপদেষ্টা।

এক পর্যায়ে ইট দেখিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ঘটনাকি? ইটের এটা কী কোয়ালিটি?’

উত্তরে একজন টেন্ডারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলেন, ‘স্যার, এটা এক নম্বর ইট।’

তাতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিসের এক নম্বর? শহীদদের কবরের ওপর আপনারা এভাবে দুর্নীতি করেন? এ কি ইট লাগাইতেছেন আপনারা?’

অন্য এক কর্মকর্তা ইটের মানকে ১০০% ভালো দাবি করলে উপদেষ্টা আরও কঠোর হয়ে বলেন, ‘আপ ব্যাটা, কিসের ভালো ইট এটা?’

পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীকে তলব করে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই ইট আপনি কোথা থেকে পাস করছেন?’ প্রকৌশলী জানান, তিনি আইইউবি থেকে পাস করেছেন।

উপদেষ্টা জবাবে বলেন, ‘আইইউবি থেকে পাস করছেন আর এই ইটের মান দেখেন, লজ্জা লাগে না?’ পরে ইটগুলো তাৎক্ষণিক সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন তিনি।

পরিদর্শনের একপর্যায়ে তিনি গণকবরে ব্যবহৃত খোয়ার মান দেখতেও যান। খোয়ার মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে সেগুলোকেও অপসারণের নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শহীদদের জন্য নির্মাণাধীন কবরস্থান নির্মাণে অনিয়ম বা দুর্নীতি সহ্য করবেন না এবং প্রয়োজনে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেন।

রায়েরবাজার কবরস্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের গণকবর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কবরগুলোকে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ এবং নির্মাণের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবায়নে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে।