
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন—জুলাই বিপ্লবে দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে মোকাবেলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে সবশেষে সব দায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দিয়ে গতবছরের আজকের এই দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। মূলত এই নিষিদ্ধ করাই ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর ক্রাকডাউন চালানো এবং ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার মিশনের বৈধতা।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক বলেন—তারা ভেবেছিলো ছাত্রশিবিরের টুটি চেপে ধরলেই জুলাই বিপ্লবের গতি থেমে যাবে, আবারো টিকে যাবে জুলুমশাহীর গদি। কিন্তু বিপ্লবী নেতৃবৃন্দের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে সেদিন কোনো পাতা ফাঁদে পা দেয়নি ইসলামী ছাত্রশিবির।
সাদিক কায়েম বলেন—আন্দোলনের সার্বজনীনতা ধরে রাখতে ছাত্রশিবির কৌশল, পরিকল্পনা ও আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে জনতার কাতারে থেকেই। যার ধারাবাহিকতায় দল, মত, শ্রেণি, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নিশ্চিত হয় ফতহে গণভবন।
ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন—বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বদাই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন ভূমিকা রেখেছে। আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধভাবেই লড়াই করে আসছে জন্মলগ্ন থেকে। ছাত্রশিবিরকে মুছে দিতে যতই অপচেষ্টা করা হোক না কেন, শিবিরের অস্তিত্ব এই দেশের মাটি-মানুষের সাথে সর্বদাই মিশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ’