
মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বিএনপির আয় বেড়েছে প্রায় ১৪ গুণ। সেইসঙ্গে ব্যয়ও বেড়েছে দলটির। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া দলটির আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে বিএনপির আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন।
হিসাব জমা দেওয়ার পর রিজভী সাংবাদিকদের জানান, ২০২৪ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। এবার দলটির উদ্বৃত্ত রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা। গতবার অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিএনপি আয় দেখিয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ১৫১ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৭০ টাকা।
রিজভী আরও জানান, ২০২২ সালে বিএনপির আয় দেখানো হয় ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা। ব্যয় হয় ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন আগে নির্বাহী বিভাগের একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছিল। আগে তাদেরই বেছে নেওয়া হয়েছিল, যারা শেখ হাসিনার পদলেহন করতে পারবেন। তারা দিনের ভোট রাতে করে ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল। আমরা আশা করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ নির্বাচন উপহার দেবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী কোনো শক্তি যাতে নির্বাচন বানচাল না করতে পারে, এটা দেখার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এই সরকারের এটা নিশ্চিত করতে হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার আওয়ামী লীগ (নিবন্ধ স্থগিত) ছাড়া ৫০টি নিবন্ধিত দলকে অডিট রিপোর্ট দিতে চিঠি দেয় ইসি। দলগুলোকে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব চলতি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হবে।
স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলোর ইসিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরপর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।