
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামী লীগ ক্যাডারসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। ফলে নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক বিরোধসহ নানা অপরাধকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব অবৈধ অস্ত্র। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, প্রতিপক্ষকে দমন, বাসস্ট্যান্ড, টেম্পোস্ট্যান্ড দখল, জমি বেচাকেনা, আবাসন কোম্পানির জমি কিনে দেওয়া নিয়ে বিরোধ, গার্মেন্টের পরিত্যক্ত কাপড় (ঝুট) ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদাবাজি ও নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে হরহামেশা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতেও রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। গত দুই মাসে নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে মাত্র তিনটি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসব অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিকরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী থানা থেকে লুট হওয়া সব অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি স্বীকার করে জানান, নির্বাচনের আগে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। অস্ত্রগুলো উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানান।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন নারায়ণগঞ্জে দুটি থানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। থানা দুটি হচ্ছে আড়াইহাজার ও সিদ্ধিরগঞ্জ। দুটি থানার বেশির ভাগ অস্ত্র লুট হয়ে যায়। এসব অস্ত্র কাদের হাতে চলে গেছে, তা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন র্যাব, পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সেভেন পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটারের চায়না রাইফেল ৭টি, সেভেন পয়েন্ট ৬২ এসএমজি ১টি, সেভেন পয়েন্ট ৬২ এলএমজি ১টি, সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তল ৫টি, নাইন এমএম পিস্তল ৭টি, ১২ বোরের শটগান ১৬টি, ৩৮ মিমি. গ্যাসগান (সিঙ্গেল শট) ৫টিসহ ৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এছাড়া সেভেন পয়েন্ট ৬২ মিমি. গুলি ২ হাজার ৮৭৭টি, সেভেন পয়েন্ট ৬২ পিস্তলের গুলি ৩২৬টি, নাইন এমএম পিস্তলের গুলি ২৯১টি, ১২ বোরের শটগানের কার্তুজ (রাবার বল) এক হাজার ১৬৮টি, ১২ বোর শটগানের কার্তুজ (লিডবল) ২ হাজার ৭৩৩টি, ৩৮ মিমি. টিয়ার গ্যাসের শেল (লং রেঞ্জ) ৪০টি, ৩৮ মিমি. টিয়ার গ্যাসের শেল (শর্ট রেঞ্জ) ৮৩টি এখনো উদ্ধার হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ধরনের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র নিকটবর্তী থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র থানায় জমার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইস্যু করা সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। সে অনুযায়ী যেসব লাইসেন্সকৃত অস্ত্র এখনো জমা হয়নি, সেগুলো অবৈধ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের খোয়া যাওয়া যেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, এর মধ্যে ছোট অস্ত্রগুলো হাত ঘুরে সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা করছি। তবে বড় অস্ত্রগুলো যারা লুট করেছে, তারা হয়তো সেগুলো পুকুর বা খালবিলে ফেলে দিয়েছে। অথবা মাটি খুঁড়ে পুঁতে রেখেছে। কারণ এলএমজি, এসএমজি, চায়না রাইফেল ব্যবহার করা সম্ভব নয়। অনেকে হয়তো ভয়ে সেগুলো পুলিশের কাছে জমা দেয়নি। তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমরা বেশকিছু বড় অস্ত্র উদ্ধার করেছি, যেগুলো মাটিতে পোঁতা ছিল অথবা ডোবা-নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, দুটি থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার বেশির ভাগ ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করেছে। তবে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪২টি অস্ত্র এবং বিপুলসংখ্যক গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পেয়েছিল অস্ত্রের লাইসেন্স : শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিল। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তৎকালীন জেলা প্রশাসকদের ম্যানেজ করে এসব সন্ত্রসী অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সংঘর্ষ এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তারে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্র বের করে মহড়া দিয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গা ঢাকা দিয়েছে। আবার অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
কারা নিয়েছিল লাইসেন্স করা অস্ত্র : খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা প্রশাসন থেকে সাবেক সংসদ-সদস্য শামীম ওসমান, তার ছেলে ইমতিয়াজ ইনান অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসাবে পরিচিত শাহ নিজাম, শাহাদাত হোসেন সাজনু, মীর সোহেল আলী, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদল, কাউন্সিলর রুহুল আমিন, নিয়াজুল, জাকিরুল আলম হেলাল, জুয়েল হোসেনসহ শতাধিক ক্যাডারের কাছে ছিল লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। ৫ আগস্টের পর এসব সন্ত্রাসী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের অস্ত্রগুলো থানায় বা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা হয়নি। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই নগরীতে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই শতাধিক ক্যাডার প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছুড়েছে। ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছোড়ার একাধিক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিও এবং স্থিরচিত্রে দেখা যায়, ওইদিন অস্ত্র হাতে গুলি করছেন এবং মহড়া দিচ্ছেন শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের ক্যাডার শাহ নিজাম, সাজনু, নিয়াজুল, জাকিরুল আলম হেলাল, জুয়েল হোসেন, তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম কবীর, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শুভ্র, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুসহ বেশ কয়েকজন।
সংঘর্ষ-আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব অস্ত্র : চলতি বছরের ১০ জুন রূপগঞ্জের ভুলতা মাঝিপাড়া এলাকায় স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির। তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান সাবেক ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুন নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহিদুল ইসলাম ও রাসেল ফকিরকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে র্যাব। কিন্তু তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৪ ডিসেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল মিয়া (৩০)। ওইদিন সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয় সন্ত্রাসীরা। ২৯ মার্চ রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবদল কর্মী হাসিব (৩২)। এতে আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
১১ এপ্রিল রূপগঞ্জের দাউদপুরে ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হন যুবদল কর্মী শান্ত সরকার। ওইদিনের ঘটনায় ব্যবহার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। সংঘাত, সংর্ঘষ ও খুনখারাবিতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ৬ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের গার্মেন্টের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১০-১২ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলার সময় সোহাগ নামের এক যুবককে পিস্তল হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। ঘটনার পর প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া যুবক সোহাগকে গ্রেফতার বা তার ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি। সোহাগ সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী দক্ষিণপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বন্ধন পরিবহণের দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হন। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায় নগরীর মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রাসেলকে। সেই সন্ত্রাসীর ছবি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা অস্ত্রধারী রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। কিন্তু প্রশাসন তাকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানায়।
যা বলছেন রাজনৈতিক নেতারা : নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এক বছরে উল্লেখ করার মতো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের দাবি, অতি দ্রুত অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হোক। অপরাধী যে দলের হোক, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় নির্বাচন হলে সংঘাত-সহিংসতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটুকু মোকাবিলা করতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারের পরই আমরা নির্বাচন চাই। কারণ, এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। বিশেষ করে রাইফেল ক্লাবের অস্ত্র, ১৯ জুলাই প্রদর্শিত অস্ত্রসহ কোনো অস্ত্রই উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর র্যাব-পুলিশ : নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাত হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে র্যাব তৎপর রয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে জেলার প্রতিটি থানাকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া আছে। পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে।