Image description

একেক দলের একেক মত। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেও দলগুলো একমতে পৌঁছাতে পারেনি। আর কবে তারা একমতে পৌঁছাবে? না। লক্ষণ বলে একমতে পৌঁছাতে কঠিনই হবে। দলগুলো এখন যে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে তার পরিণতি কি হয় জানি না। তবে, এতসব সংস্কার একসঙ্গে না করে শুধুমাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন দিলে অনেক ভালো হতো। কিন্তু এ ভালোটা কে বুঝাবে বলুন। আপনার শাসনামলে আপনার অনেক ভুল কাজের সমালোচনা করলে আপনি যেমন ছ্যাঁক করে উঠতেন এখনো এমন দল আছে তাদের ভুলের সমালোচনা করলে ছ্যাঁক করে উঠে। এই ছ্যাঁক করে উঠাটাই ফ্যাসিস্টের আলামত। আর ফ্যাসিস্টের পতন কখনোই কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। প্রকৃতিই ফ্যাসিস্টকে শায়েস্তা করে। শুধু অপেক্ষা সময়ের। 


প্রিয় আপা, জামায়াতের মহাসমাবেশ থেকে যে বার্তা দেয়া হয়েছে তা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলবে বলে মনে হয়। এটাতেও আপনার লাভ। এখন সামনে শুধু আপনার লাভ আর লাভ দেখছি। এভাবে অপেক্ষা করুন। দেখবেন একদিন আলোর দিশা পাবেন। আরেকটি কথা না বললেই নয়, আপনার পুত্র জয় চব্বিশের আন্দোলনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ সংবলিত আপনার যে ফোনালাপ তাকে ২০১৪ সালের বলে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তার মানে জয় বুঝাতে চেয়েছে- সে সময় থেকেই আপনি মানুষ মারার লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা আপা এসব বিষয়ে কী জয় চুপ থাকতে পারে না? নাকি সেও আপনার মতো সকল বিষয়ের বিশেষজ্ঞ? যদি আপনার মতো হয়ে থাকে তাহলে অন্যকথা। না হলে, তাকে বলুন সব বিষয়ে কথা না বলতে। এতে হিতে বিপরীত হয়। 


যাকগে আপা, অনেক কথাই বলা হলো। গোপালগঞ্জ থেকে এনসিপির ওপর হামলা, গুলি। পিআর পদ্ধতি, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। এসবগুলোর পেছনে তাকালে কেন জানি মনে হয় সবকিছু আপনার মনমতো হচ্ছে। সবশেষে বলবো-আপনি ভালো থাকুন সব সময়। আজ এখানেই রাখছি।

সূত্র- জনতার চোখ