
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাষ্ট্রের সংস্কার, মার্কিন শুল্কনীতির চাপসহ অর্থনৈতিক অবস্থায় গুমট পরিস্থিতি, মব ভীতি, অনাকাঙ্ক্ষিত নিত্যনতুন ইস্যু—এসব নিয়ে সরকারের প্রতি আস্থার সংকট স্পষ্ট হচ্ছে। সরকারের দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও।
গত এক বছরে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে শক্ত কথা বলার সময় এসেছে বলেও বিশিষ্টজনদের মন্তব্য আসছে। বলা হচ্ছে, এই সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান নেই। এসব মন্তব্য, দাবি, অভিযোগ ও আস্থার সংকটের মধ্যেও জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে অটুট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
পর্যবেক্ষকমহলের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করলেও দেশের সংকটময় মুহূর্তে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে অটুট থাকার প্রতিশ্রুতি নেয়। ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলাকালে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সে সময় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও আগ্রাসন ঠেকাতে দলগুলো সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং দুষ্কৃতকারীদের হামলা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়া; গত সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু; পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে আইন উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করে রাখা; রাষ্ট্রীয় শোক দিবসেও এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতে কেন বিলম্ব হলো—এই প্রশ্নে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ—এসব ঘটনার মধ্যে গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিশেষজ্ঞ মত : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, “গত এক বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য চোখে পড়ছে না। বরং সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সংশয় দেখা দিয়েছে। আমরা লক্ষ করছি, যখনই সরকারের কোনো ব্যর্থতা বা ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা হয়, তখনই প্রধান উপদেষ্টা এক ধরনের নির্লিপ্ততার ভঙ্গিতে জানিয়ে দেন, ‘আমি সরকারে থাকতে চাই না, আমাকে অনুরোধ করে রাখা হয়েছে।’ এ ধরনের মনোভাব থেকে বোঝা যায়, সরকার আসলে কোনো দায়দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নয়। গত মঙ্গলবার সরকার চারটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য আহবান করেছিল। অনেকেই আশা করেছিল যে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং সরকার জরুরি ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ ও সহযোগিতা চাইবে। কিন্তু বৈঠকে সেই বিষয়ে কোনো আলোচনাই করা হয়নি। বরং প্রধান উপদেষ্টার অপ্রাসঙ্গিক মিষ্টি হাসি দেশবাসীকে বিব্রত এবং লজ্জিত করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, আমাদের সন্তানদের মর্মান্তিক মৃত্যু যেভাবে সাধারণ মানুষকে নাড়া দিয়েছে, সরকারকে কি তেমনভাবে নাড়া দিয়েছে?”
অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন আরো বলেন, ‘সরকারের অভ্যন্তরে সমন্বয়হীনতা এখন একেবারেই স্পষ্ট। প্রতিদিন বিশ্লেষকরা সরকারের নানা ব্যর্থতার দিক তুলে ধরছেন, কিন্তু সরকার সেগুলো আমলে নিচ্ছে বলে মনেই হয় না। ফলে এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, আসলে সরকার চালাচ্ছে কে? কেউ মনে করছে, সরকার পরিচালনায় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা আছে। কেউ বলছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতো কিছু দল মূলত সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার সরকারের প্রেস সচিবের বক্তব্যের ধরন দেখে অনেকে মনে করছে, তিনি একাই যেন সরকার। কেউ কেউ মনে করছে, সরকারে যাঁরা আছেন তাঁরা বিশেষ কোনো দেশ বা শক্তির ইশারায়ই রাষ্ট্র চালাচ্ছেন!’
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা আছে, আবার নেই। শুরুর দিকে সরকারের প্রতি বিএনপি যতটা ভরসা করত এখন সেটা অনেকটাই কমে গেছে। এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামী দল সরকারের প্রতি শুরু থেকেই আস্থাশীল। আসলে দুর্বল সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ, এই বাস্তবতা এই দলগুলোকে সরকারের ঘনিষ্ঠ করে তুলেছে। রাজনৈতিক দল ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে সরকারের কী ধরনের বন্দোবস্ত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গত এক বছরে মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে যত আঘাত এসেছে, সরকার তার কোনো প্রতিবাদ করেনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে ঘুরিয়েফিরিয়ে সমর্থনই জানিয়েছে। সারা দেশে, বিশেষ করে ঢাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। যদি সামনে কোনো রাজনৈতিক দুর্যোগ বা সহিংসতা তৈরি হয়, এই সরকারের পক্ষে তা মোকাবেলা করা কঠিন হবে। বেসামরিক প্রশাসনে চেইন অব কমান্ড কার্যত ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতি যত গভীর হবে, সরকারের সমন্বয়হীনতা যত প্রকট হবে, ততই দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা বাড়বে। যারা অস্থিরতা ও অরাজকতা চায়, তাদের জন্য এটি অবশ্যই সুবিধাজনক পরিবেশ। পরিহাসজনক হলেও সত্য যে এই অস্থিরতা অনেকভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষেও সুবিধা তৈরি করতে পারে।’
যেসব সমালোচনা ও মন্তব্য আলোচনায় : সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সেমিনারে বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে গত প্রায় এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের মূল্যায়ন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে এ সমালোচনা উঠে আসছে। যাঁদের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে বা প্রচার রয়েছে তাঁরাও এ ক্ষেত্রে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গতকাল চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সম্পর্কে বলেন, ‘উনার একমাত্র যোগ্যতা উনি গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছের মানুষ। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা লইয়া আমরা কী করিব? দুঃখজনক বিষয়, উনি নিজে চিকিৎসা করাইতে সিঙ্গাপুর যান। আমরা বললে বিড়াল বেজার হয়। উনাকে (স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) নিয়ে একবার কথা বলছিলাম, এরপর উনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। জনগণ উনাকে যে বেতন দিছে, সেগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো প্রয়োজন নেই।’
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু গণমাধ্যমকে জানান, সংস্কার দৃষ্টান্তমূলক না হলে, একই সঙ্গে নির্বাচনও যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতকাল রাজধানীতে একটি গোলটেবিল বৈঠকে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মিষ্টি কথা, ভালো কথা, ভালো উদ্যোগ ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু হয়েছে। আমরাও অনেক ধরনের আশাপ্রদ অনেক কিছু দেখেছি। আজকের ফ্রেমিং আমার দৃষ্টিতে হতে হবে, পাওনার হিসাব এবং উত্তরণের পথরেখা। আজ পাওনার হিসাবটা খুবই জরুরি। বিচার, সংস্কার, নির্বাচন—এই বিষয়গুলোতে এক বছরে কী কী হলো, সেই পাওনার হিসাবটা আজ মূল কথা হতে হবে।’
একই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কোনো ভয়ভীতি নেই, এমনটা কেউই বলতে পারবে না। ভয় বিচারব্যবস্থার ভেতরেও আছে, বাইরেও আছে। সবারই চিন্তা হচ্ছে, কোনো একটা গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে কিছু একটা নিয়ে জোরে আওয়াজ তুললেই তো শেষ। এমন ভয়ের পরিবেশে কে ঠিকমতো রায় দেবে বলুন? রায় তো দূরের কথা, আদেশই বা কে দেবে?’
বৈঠকটিতে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী চেতনায় আমরা নতুন সরকার আনলাম। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে তারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ও সংস্কারপ্রক্রিয়ায় প্রতিফলন করতে পারল না। সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করা নেই। সর্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক বিকাশকে চিন্তা করে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত এবং তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর পদক্ষেপের ভেতরে গেল না এখন পর্যন্ত। সংস্কারের যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, সেই সম্ভাবনাটুকু গরিব মানুষ তো পরের কথা, এমনকি উৎপাদনশীল উদ্যোক্তা শ্রেণিও তার ভেতর এলো না।’ লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমরা একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি। গণতন্ত্র চাই, কিন্তু নির্বাচন চাওয়া যাবে না। এখন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার একটি চেষ্টা আছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেশ যদি গোল্লায়ও যায় তাতে কিছু মানুষের লাভ আছে।’
গত মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটিতে আয়োজিত ‘সংকট উত্তরণে সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংকটে পড়েছি, বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্লাসরুমে ছেলেদের ফিরে না যাওয়া—এসব সংকট অত্যন্ত ঘনীভূত। এ জন্য স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে। সেই স্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতেই নির্বাচন দরকার।’
ওই বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা চোরাবালিতে ডুবে গেছে। শেখ হাসিনার সময়ে তিনটি নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনগুলোতে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কাজেই এই নির্বাচনহীন অবস্থা থেকে মুক্তির সমাধান হচ্ছে নির্বাচন। একটি সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও নির্ভরযোগ্য নির্বাচন; যা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না, কোনো সন্দেহ থাকবে না। এই ধরনের যদি একটা নির্বাচন করতে পারি, তাহলে সংকটের অন্তত অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সবাইকে ঐকমত্যে আসতে হবে।’
ওই বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এ সরকার নিজেই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে আমার ধারণা। তারা যদি গণতন্ত্র ফেরাতে উদ্যোগী হতো তাহলে গত এক বছরে তারা অনেক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারত। কিন্তু আমার ধারণা, নির্বাচনকে ঠেকানোর জন্য অথবা প্রলম্বিত করার জন্য এক বছর তারা ব্যবহার করেছে। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে, সংকট উত্তরণে, সংসদ নির্বাচন আমাদের পথ দেখাতে পারে। সংসদ নির্বাচন না হলে সামনের দিনগুলোতে সংকট উত্তরণ দূরে থাক, আমরা আরো মহাবিপদের দিকে ধাবিত হব।’
[প্রতিবেদনটিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কালের কণ্ঠের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি]