Image description
 

‘আমরা বিএনপির লোক, এখানে ব্যবসা করতে হলে আমাদের টাকা দিতে হবে’ এমন কথা বলে চাঁদা দাবি ও না পেয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জীবেশ বাড়ৈ নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।

 

বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরে আহত মনিরুজ্জামান উলুর জামাই শামিম শেখ।

 

অভিযুক্ত জীবেশ বাড়ৈ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামিম শেখ বলেন, আমার শ্বশুর মনিরুজ্জামান উলু দীর্ঘদিন ধরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর এলাকায় খামার ও মাছের ঘেরের ব্যবসা করে আসছে।

১৮ জুন আমার শশুর মনিরুজ্জামান ও শ্যালক জুয়েল মোটরসাইকেল করে ঘের থেকে টুঙ্গিপাড়ার দিকে আসছিল। তারা গোপালপুর এলাকার চাপড়াইল ব্রিজের উপর পৌঁছলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রান্ত তালুকদার ও তার কয়েকজন সহযোগী তাদের পথরোধ করে। তখন পথ আটকানোর কারণ আমার শ্বশুর জানতে চাইলে প্রান্ত বলেন আপনারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। কিন্তু আমাদের কোনো সহযোগিতা করেন না।

শামীম বলেন, ‘আমরা বিএনপির লোক, এখানে ব্যবসা করতে হলে আমাদের টাকা দিতে হবে।’ এ কথা বললেও আমার শ্বশুর ও শ্যালক তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের সাথে বাগ-বিতণ্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতা প্রান্ত তাদের নেতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈকে ফোন দেয়। কিছু সময় পর জীবেশ নসিমনে করে এসে কয়েকজন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের হামলা করে। তখন আমার শ্বশুর মনিরুজ্জামান উলু গুরুতর আহত হয়ে গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।

 

তিনি আরো বলেন, পরে টুঙ্গিপাড়া থানায় গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। তখন আমরা গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন। বর্তমানে বিএনপি নেতা জীবেশ ও ছাত্রদল নেতা প্রান্ত একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করতেছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

 

এবিষয়ে অভিযুক্ত গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এসব কুৎসা রটাচ্ছে। মূলত এঘটনার জন্য আমি দায়ী না। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।