Image description
জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র দুই নেতা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে। সদ্য বহিষ্কৃত দুই নেতা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার শুরু করেছেন  নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কার্যক্রম। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে জিএম কাদেরের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান দেবেন কারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে।

জানা যায়, এই দুই নেতার সঙ্গে রয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এই তিন নেতার সমন্বয়ে মূলত এগিয়ে চলছে নতুন এই কোরামটি। এতে আরও রয়েছেন কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা (চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত), জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান।

এ ছাড়াও রয়েছেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, মো. হারুন আর রশিদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আমানত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সম্পাদক শারমিন পারভীন লিজা, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান দুলাল, আব্দুস সাত্তার, জিয়াউর রহমান বিপুল, তাসলিমা আকবর রুনা, আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, এস এম হাশেম, সিরাজুল আরিফিন মাসুম, চিশতী খায়রুল আবরার শিশির, হানিফ হোসেন বাবু, ফয়সাল সালমান ও মিজানুর রহমান।
এ ছাড়াও এরশাদপত্নী রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আরও নেতাকর্মী এই পক্ষের সঙ্গে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান বলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নেতৃত্বে একাধিক নেতা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। যারা জিএম কাদেরের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮শে জুন দশম কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এতে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। তারা বলছেন, পদ হারানোর ভয়ে এই কাউন্সিল স্থগিত করেন জিএম কাদের। সেইসঙ্গে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায় দিয়ে’ বহিষ্কার করেন। কাউন্সিলের বিষয়ে দলীয় বার্তায় বলা হয়, স্থান না পাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। তারা গঠনতন্ত্রের ২০ এর ১ (ক) ধারা বাতিলের প্রস্তাব দেন। এই ধারার ক্ষমতাবলে যে কাউকে বহিষ্কার করতে পারতেন তিনি। এর বিরুদ্ধাচারণ করার কারণেই দীর্ঘদিনের সঙ্গী মুজিবুল হক চুন্নুকেও বহিষ্কার করেন তিনি। ’২৪-এর নির্বাচনের সময় থেকে এপর্যন্ত ৩০০’র অধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছেন জিএম কাদের। যে তালিকায় রয়েছেন অনেক প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যও।