
গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেছেন, আমার ভাই হত্যার বিচার এখনো পাই নাই। আমাদের পরিবার শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা কখন আবু সাঈদ হত্যার বিচার পাব?
শুক্রবার বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতের বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী। এতে যোগ দেন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন।
রমজান আলী বলেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পেয়েছি। চারজন কারাগারে এবং ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু পরোয়ানা জারি করলে হবে না। দেশ ও দেশের বাইরে যেসব খুনি আছে, তাদের দেশে এনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ’ সাজিয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে হাজারও মানুষ স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য জীবন দিয়েছেন। সবার চাওয়া হত্যার বিচার ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়া। কারণ একমাত্র শহীদ ভাইদের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
চব্বিশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের খুনিসহ ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবি, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ও রাজনৈতিক সংস্কার এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে জনসভার আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা।
শুক্রবার বেলা ৩টায় এ জনসভা শুরু হয়। এর আগে একই মাঠে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া সদ্য কারামুক্ত দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলামসহ ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।