Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচন ইনশাআল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।

শুক্রবার বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পর নির্বাচন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা জামায়াত এ জনসভার আয়োজন করে।

জনসভা উপলক্ষে সকাল থেকেই জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। জুমার নামাজের পরপরই মাঠ পূর্ণ হয়ে আশপাশের এলাকা পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না, কালো টাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না।

প্রধান বক্তা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানত না। আজকে আমি লক্ষ জনতার সামনে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় রশি পড়ানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পড়ানো হলো।

তিনি আরও বলেন, আমার মুক্তির প্রথম সোপান আবু সাঈদ—যার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। যদি ৫ আগস্ট না হতো, আপনারা আমার জানাজা পড়তেন। আবু সাঈদের মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। আমি তার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের আমীর মাওলানা এটিএম অজম খান এবং পরিচালনা করেন রংপুর জেলার আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বনী।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।