
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের থাকাকে শিক্ষার্থীদের ‘অধিকার হরণ’ বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর প্রধান থাকবে ভিসি। প্রশাসন আগে থেকেই আমাদের অধিকার হরণ করে রেখেছে। প্রশাসন যদি আমার মাথায় উপর থাকে তাহলে আমি কিভাবে অধিকার আদায় করবো।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্প’ নামক এক প্লাটফর্ম কর্তৃক আয়োজিত ‘ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিপন বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদল সামনের সারিতে ছিল। বিগত দেড় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের স্বীকার হয়েছিল। বিগত সময়ের যে ইতিহাস ,আমাদের লড়াইয়ের মাধ্যমে অধিকার বাস্তবায়ন করেছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের জন্য ডাকসু অধিকার। একাত্তরের পর অর্ধ শত বছর পার হয়ে গেলেও অনেক কিছু হয়নি।
তিনি বলেন, গত ডাকসু নির্বাচনের আমি একটা হলের ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলাম। নির্বাচনের দিন আমাকে বলা হয় আপনি এখান থেকে চলে যান। তখন আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ডাকসুকে অধিকার হিসেবে চেয়েছিল ছাত্রদল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুর প্রধান থাকবে ভিসি। প্রশাসন আগে থেকেই আমাদের অধিকার হরণ করে রেখেছে। প্রশাসন যদি আমার মাথায় উপর থাকে তাহলে আমি কিভাবে অধিকার আদায় করবো।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ডাকসু আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনকে নানা প্রস্তাবনা দিয়েছি। যেখানে শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা চিন্তা করে ডাকসু নির্বাচনের কথা বলেছি। আমরা নারীদের অংশগ্রহণের জন্য ভিপি পদে একজন পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি এবং এ জিএস পদেও একজন পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। তাছাড়া আমরা ডাকসুর ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে চেয়েছিলাম।
এছাড়া, মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর সংগঠক সজীব হোসেনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আরমানুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেঘমল্লার বসু, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহবায়ক আব্দুল কাদের এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।