
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনো আপস করেনি।”
তিনি বলেন, “দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রতিটি জনশক্তি। সুতরাং বারবার ১৯৭১ প্রসঙ্গ টেনে শিবিরকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্পূর্ণ অবান্তর।”
সাদিক কায়েম বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রতিটি সংকটময় সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আন্দোলনে জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, শিবির দেশের স্বার্থে আপসহীন। অতএব, ৭১-কে সামনে এনে বিভাজনের রাজনীতি একটি ষড়যন্ত্র, যা বর্তমান নব্য ফ্যাসিবাদী শাসন ও ভারতের প্রভাব থেকে পরিচালিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের ছাত্র ঐক্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্য এখনো বিদ্যমান। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ব্যক্তিগত মতভেদ থাকলেও দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলোর উচিত ঐক্য বজায় রাখা।”
তিনি জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “৫৪ বছর পরেও যদি জাতি মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্যমতে না পৌঁছাতে পারে, তাহলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হতাশাজনক বার্তা বহন করবে। এবারের সুযোগ যদি হাতছাড়া হয়, তাহলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।”
শেষে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, “আসুন, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাইয়ের ঐক্যের চেতনার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করি।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Wvv8LbfToPU